বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় বর্ষীয়ান শিল্পপতি হলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। তাঁকে চেনেন না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রতন টাটা একাধিক সামাজিক কাজকর্মের সাথে জড়িত থাকেন এবং দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেন। আর সেই কারণেই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা।
এদিকে, বিগত বছরগুলিতে টাটার সাথে এক যুবককে আমরা প্রায়শই দেখেছি। পাশাপাশি, তিনিও ইতিমধ্যেই সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তাঁর নাম হল শান্তনু নাইডু। তিনি হলেন রতন টাটার ম্যানেজার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রতন টাটা শান্তনুকে নিজের পুত্র হিসেবে মনে করেন। মূলত, শান্তনু রতন টাটার ব্যবসার পাশাপাশি তাঁর বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাজকর্মের দেখভাল করেন। এছাড়াও, তিনি রতন টাটার অফিসের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, শান্তনুর নিজস্ব কোম্পানিও আছে। যেটির নাম হল “গুডফেলো”। ওই কোম্পানিতে বয়স্কদের প্রয়োজনের সময় সমস্তরকম সুবিধাপ্রদান করা হয়। এমতাবস্থায়, শান্তনুর কোম্পানির মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি। অটোমোবাইল ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু নাইডু ২০১৪ সালে টাটা এলক্সিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় শান্তনু একটি পথ দুর্ঘটনায় একটি কুকুরকে মারা যেতে দেখেন।
এই ঘটনা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। পাশাপাশি, তিনি পথ কুকুরদের সাহায্য করার জন্য একটি NGO গঠন করেন। এছাড়াও, কুকুরগুলিকে যানবাহনের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি সেগুলির গলায় এমন স্ট্র্যাপ পরিয়েছিলেন যেগুলি অন্ধকারে জ্বলজ্বল করত। এদিকে যেহেতু শান্তনুর কাছে অর্থের অভাব ছিল, তাই তাঁর বাবা রতন টাটাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে টাটা শান্তনুর সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন।
এমতাবস্থায়, রতন টাটা শান্তনুকে তাঁর NGO-র মাধ্যমে পথ কুকুরদের খাওয়াতে দেখেছিলেন। শান্তনুর এই আচরণ টাটাকে মুগ্ধ করে। পাশাপাশি, টাটা শান্তনুর কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে তাঁকে ম্যানেজার করার সিদ্ধান্তও নেন এবং উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। শান্তনুর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামে যোগ দিতে টাটা নিজে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছিলেন। এদিকে ২০২১ সালে রতন টাটার জন্মদিনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসে। সেইখানেই প্রথমবার শান্তনুর সাথে তাঁকে দেখা গিয়েছিল।