বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় বাংলায় (West bengal) তৃণমূলের ( All India Trinamool Congress) ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) এবং নির্মল মাঝির অবদানও অনস্বীকার্য। তাই নির্মল মাঝিও রাষ্ট্রসংঘ অনুমোদিত এক সংস্থার তরফ থেকে পাবেন এক বিশেষ পুরস্কার। এমনটাই জানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফ থেকে একটি চিঠি আপলোড লোড করা হয়।
তৃণমূলের চিঠি
তৃণমূলের সেই চিঠিতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোশিয়েশন নামক রাষ্ট্রসংঘ অনুমোদিত এক সংস্থা জানিয়েছে, করোনা এবং আমফান পরিস্থিতির মধ্যেও তৃণমূল বাংলার মানুষকে আগলে রেখেছে। তাদের হাতে বাংলার মানুষ নিরাপদ। বিশেষত করোনা মোকাবিলায় তাঁদের পারদর্শীতা প্রভূত প্রশংসনীয়।
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে
স্যোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের এই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরই শুরু হয় জল্পনা। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠিতে ছিল একাধিক ভুল, যা কোনভাবেই চোখ এড়ায়নি স্যোশাল মিডিয়ার মানুষদের। এরপর থেকেই উঠতে থাকে নানান প্রশ্ন। শোনা গিয়েছে, বিশদে জানার জন্য ওই পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ওই সংস্থার সাথে নাকি রাষ্ট্রসংঘের কোনও যোগ নেই। সেটি আসলে একটি জাপান ভিত্তিক একটি সংস্থা।
শুরু হয় জল ঘোলা। ধীরে ধীরে জানা যায়, ওই জাপানী সংস্থার ভারতীয় প্রতিনিধি প্রিয়া দত্ত একজন এনজিও কর্মী। কিন্তু তলিয়ে দেখে জানতে পারা গেছে, গ্রাসরুট সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিটি নামে কিছুদিন পূর্বেই তিনি তৃণমূলের একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন।
সম্মান জ্ঞাপন নির্মল মাঝিকে
নির্মল মাঝিকে কেন বিশেষ সম্মান দেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানান, বর্তমানে তাঁর সংস্থার দাতব্য ইভেন্ট এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য বিষয় সাহায্য, প্রাকৃতিক সমস্যা, শিক্ষা এবং কল্যাণের স্বেচ্ছাসেবক প্রকল্পে নির্মল মাঝি অনেক সাহায্য করেছেন। তাই তাঁকে ইমেল মারফত প্রশংসা করে বলা হয়, এই মহামারির সময়েও আপনাদের মানবদরদী কাজ প্রশংসনীয়। মানুষ আপনাদের কাছে নিরাপদেই আছে। এই বিশেষ সম্মান তাঁরই প্রাপ্য।