বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকের বলিউড নায়িকাদের নাম উঠলে কাজলের (Kajol) প্রসঙ্গ উঠবে না এমনটা হতেই পারে না। ইন্ডাস্ট্রির ডাস্কি বিউটিদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। ছিলেন, কারণ এখন আর ‘শ্যামলা সুন্দরী’দের তালিকায় তাঁকে ফেলা যায় না। রাতারাতি গায়ের রঙ পালটে ধবধবে ফর্সা হয়ে উঠেছেন কাজল। নেপথ্যে রহস্যটা কী? এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখার পর সম্প্রতি সেকথা ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।
সিনেপ্রেমীরা একটা কথা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, কেরিয়ারের শুরুর কাজল আর এখনকার কাজলের মধ্যে ফারাকটা যথেষ্ট দৃশ্যমান। প্রথম দিককার সিনেমাগুলিতে দেখা গিয়েছে শ্যামবর্ণা কাজলকে। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে কেরিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে সকলে অবাক হয়ে দেখলেন তাঁদের চেনা অভিনেত্রী বদলে গিয়েছেন।
তাঁর গায়ের রঙের এই বদল নিয়ে ট্রোলডও কম হননি কাজল। হঠাৎ করে এতটা পরিবর্তন হল কীকরে তাঁর? অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, নির্ঘাত কসমেটিক সার্জারির শরণাপন্ন হয়েছিলেন কাজল। নয়তো শ্যামলা থেকে এতটা ফর্সা হতে পারতেন না তিনি। কটাক্ষ শুনেও বিশেষ পাত্তা দেননি কাজল। তবে সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ট্রোলারদের উচিত জবাব দিয়েছেন তিনি।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন কাজল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর প্রায় অর্ধেক মুখ ঢাকা মাস্কে, চোখে আঁটা সানগ্লাস। কাজলকে চেনাই দুষ্কর! ছবিটি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যারা জিজ্ঞাসা করেন আমি কীকরে এত ফর্সা হলাম’।
এ প্রসঙ্গ আগেও উঠে এসেছে কাজলের কথায়। তিনি দাবি করেছিলেন, কোনো স্কিন লাইটনিং তিনি করাননি। কেরিয়ারের প্রথম ১০ বছর রোদের মধ্যে কাজ করেছেন তিনি। তাই প্রচণ্ড ট্যান হয়ে গায়ের রঙ শ্যামলা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যেদিন থেকে তিনি রোদের মধ্যে কাজ করা বন্ধ করে দিলেন সেদিন থেকে ধীরে ধীরে আসল রঙ আবার ফিরে আসতে শুরু করল। এর জন্য কোনো কৃত্রিম উপায় তিনি অবলম্বন করেননি বলেই দাবি করেছিলেন কাজল।