রেল স্টেশনের হলুদ বোর্ডে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা লেখা থাকে কেন, এর পেছনে রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতে পরিবহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল রেল (Indian Railways) । সস্তায় আরামদায়ক ভ্রমণ করার জন্য দেশের সিংহভাগ নাগরিকই এটিকে বেছে নেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ১০০ কিলোমিটার দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে চান, তাহলে বাসে আপনাকে দিতে হবে প্রায় ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু ট্রেনে ওই একই দূরত্ব ভ্রমণ করতে আপনাকে দিতে হবে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় ঠিক কতটা সস্তা রেল।

এটির আরও একটি সুবিধা হল, ট্রেনে করে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। তার কারণ ট্রেন লাইনে কোনও ট্র্যাফিক জ্যাম হয় না। যেটা বাস বা অন্য কোনও পরিবহনের ক্ষেত্রে হতে পারে। তাই কম সময়ে এবং অল্প খরচে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার জন্য রেলকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন মানুষ। ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইনও বলা হয়। 

ট্রেনে সফর করলে আপনি দেখে থাকবেন স্টেশনের বোর্ডে যেখানে স্টেশনের নাম লেখা তার নীচে লাল কালি দিয়ে একটি লেখা রয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন এটি আসলে একটি সংখ্যা যা লেখা থাকে বোর্ডে। জানেন কি এই লেখার অর্থ কী?

রেল স্টেশনের বোর্ডে স্টেশনের নামের নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা হয় স্টেশনটির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা। অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কতটা উঁচুতে এই স্টেশনটি অবস্থিত। খেয়াল করলে দেখবেন স্টেশনের বোর্ডে লাল কালি দিয়ে MSL- এই তিনটি ইংরেজি অক্ষর লেখা রয়েছে। এর অর্থ মিন সি লেভেল অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেই স্থানের উচ্চতা।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে একটি জায়গার উচ্চতা জানা খুবই প্রয়োজন কারণ এটি একটি স্টেশন তৈরি করতেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, উচ্চতার উপর ইঞ্জিনের শক্তিও নির্ভর করে। যেমন বেশি উচ্চতায় চলাচল করতে গেলে ইঞ্জিনের বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়ে।

তাই ট্রেনের চালকও যদি জায়গাটির উচ্চতা সম্পর্কে অবগত হন তাহলে ইঞ্জিনে কতটা শক্তি প্রয়োজন তা সহজেই বিচার করতে পারবেন তিনি। একইভাবে ওই উচ্চতায় পৌঁছতে ইঞ্জিনের কতটা গতি হওয়া উচিত তাও নির্ধারণ করেন চালক। যাতে ট্রেনটি সহজেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।  

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর