বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক সপ্তাহ হতে চলল আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash)। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পরপরই মেঘানিনগরে ঘটে যায় বিগত কয়েক শতাব্দীর সবথেকে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। টেকঅফের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি উপরে ওঠার বদলে দ্রুত নীচে নেমে সটান ধাক্কা মারে একটি মেডিকেল কলেজের হস্টেলে। বিমানের (Plane Crash) খানিকটা অংশ ঢুকে যায় হস্টেলের মধ্যে, বাকি অংশটা ভেঙে পড়ে মাটিতে। মুহূর্তে বিরাট বিস্ফোরণে আকাশ ছোঁয় কালো ধোঁয়া।
দুর্ঘটনায় (Plane Crash) মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৭৪
ওইদিন বিমানে থাকা একজন যাত্রী বাদে মৃত্যু হয়েছে পাইলট, কেবিন ক্রু সহ ২৪১ জনের। পাশাপাশি হস্টেলের পড়ুয়া এবং স্থানীয় কিছু হতভাগ্য মানুষকে নিয়ে শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২৭৪ এ। এখনো চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ। দুর্ঘটনা (Plane Crash) এবং বিষ্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে ঝলসে যাওয়া দেহগুলি।
অভিজ্ঞতা জানালেন উদ্ধারকারী: স্থানীয় বাসিন্দা রাজু প্যাটেল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনাটি (Plane Crash) যখন ঘটে তখন তাঁরা প্রায় ১৫-২০ মিনিটের দূরত্বে ছিলেন। দমকল, অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যেতে দেখেই তাঁরাও এগিয়ে যান সেদিকে। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, ততক্ষণে ১০৮ টি অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছেছে সেখানে। উদ্ধারকাজে তাঁরাও হাত লাগান বলে জানিয়েছেন রাজু।
नैनं दहति पावक: !
विमान में सबकुछ जलकर खाक हो गया, पर विमान की राख़ से सुरक्षित मिली श्रीमद्भगवद गीता ! #Geeta #गीता pic.twitter.com/Z6ZPNI9usx
— Ramesh Shinde (@Ramesh_hjs) June 14, 2025
আরো পড়ুন : আম জনতার স্বস্তি! বিল এনে বেসরকারি হাসপাতালের খরচে লাগাম রাজ্য সরকারের
কী কী উদ্ধার হয়েছে: রাজু আরো জানিয়েছেন, বিছানার চাদর, শাড়ি দিয়ে মুড়িয়ে দেহগুলিকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছিলেন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। আগেই জানা গিয়েছিল, ঘটনাস্থল (Plane Crash) থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে একটি ভগবদ্গীতা। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অবিশ্বাস্য ভাবে অক্ষত রয়েছে ওই ভগবদ্গীতা।
আরো পড়ুন : ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১ কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার TMC নেতা, অস্বস্তিতে শাসক দল
এছাড়াও ঘটনাস্থলে ভেঙে পড়া বিমান থেকে যাত্রীদের ব্যাগ, সুটকেস বের করে আনেন রাজু। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একাধিক পাসপোর্ট, মোট ৬৮ ভরি সোনা এবং ৮০ হাজার নগদ টাকা। সেসবই দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।