বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। এখন থেকেই শাসক-বিরোধী সব শিবিরেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। পাখির চোখ ওই সিংহাসন। কারও কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই আর কারও কাছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার। এরই মধ্যে ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের খাসতালুক তমলুকে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘রাজ্যে হব ১৮০ অন্তত।’
আর কী বললেন শুভেন্দু? Suvendu Adhikari
এদিন দোলের অশান্তির অভিযোগে পথে নামেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করব’। আদালতের নির্দেশ ছিল, তমলুকের রাজবাড়ি মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মিছিলের করা যাবে। সময়ও বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। দুপুর ১টা থেকে বেলা ২.৩০-র মধ্যে মিছিল করা যাবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।
একইসাথে এক হাজার লোক নিয়ে মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেই মত ১টা বেজে ৩০ মিনিটে তমলুকে রাজবাড়ি ময়দান থেকে শুরু হয় মিছিল। এরপর তমলুক কোর্টের সামনে সেই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী, বিধায়ক অশোক দিন্দা-সহ অন্যান্য স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
মিছিল থেকেশুভেন্দু বলেন, ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। হিন্দু জেগে গিয়েছে’। বাংলায় কি আইনশৃঙ্খলা আছে? নেই,। এই তালিবান সরকারকে সরাতে হবে’। ক্ষুদিরামে মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর হুঙ্কার, ‘এই জেলার দুটি লোকসভা আসন নরেন্দ্র মোদীজিকে দিয়েছেন। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬, রাজ্যে হব ১৮০ অন্তত’।
আরও পড়ুন: পূর্বাভাসকে সত্যি করে বঙ্গে ধেয়ে এল কালবৈশাখী! জেলায়-জেলায় জারি কমলা সতর্কতা
প্রথমে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আদালতে রাজ্যের জানায়, বিজেপির প্রস্তাবিত রুটে মসজিদ আছে, নমাজ হয়। এছাড়া প্রশাসনিক ভবন ও আদালতও আছে। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা হতে পারে। আদালতে রাজ্যের দাবি ছিল, যে জায়গার অশান্তির প্রতিবাদে এই মিছিল হচ্ছে সেখানে ১৫ মার্চ শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ফের সেই জায়গায় মিছিল হলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। যদিও রাজ্যের দাবি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মিছিলের অনুমতি দেন।