বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বিবৃতি দিয়েছেন। যার ফলে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। তিনি দাবি করেন যে, অর্থনীতি ও উন্নয়নের দিক থেকে পাকিস্তান ভারতের পেছনে থাকলে তাঁর নাম শেহবাজ শরীফ থাকবে না। এদিকে, তাঁর এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সমালোচিত হচ্ছে।
কি জানিয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী?
শেহবাজ শরীফ কি জানিয়েছেন: মূলত, পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের ডেরা গাজি খানে এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন শাহবাজ শরীফ। সেই সময় তাঁকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তিনি তাঁর বক্তৃতায় পাকিস্তানের সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রচেষ্টার কথা বলেন এবং এটাও বলেন যে, তাঁর সরকার পাকিস্তানের অবস্থার উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তবে, তারপরেই শরীফ যা বলেন তা নিয়েই শুরু হয় আলোড়ন।
শরীফ বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টায় পাকিস্তান (Pakistan) যদি ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকে, তাহলে আমার নাম আর শেহবাজ শরীফ থাকবে না।” তিনি আরও জানান যে, তিনি পাকিস্তানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাঁর সমস্ত শক্তি ব্যবহার করবেন এবং ভারতকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে নেই শান্তি! অথচ ভারতকে টেক্কা দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ইউনূস, মাস্কের কাছে করলেন বড় আবেদন
নওয়াজ শরীফের কথাও বলা হয়: এর পাশপাশি শেহবাজ শরীফ তাঁর দাদা তথা পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নাম নিয়ে বলেন, “আমি নওয়াজ শরীফের একজন ভক্ত, তাঁর অনুগামী। আজ আমি তাঁর জীবনের শপথ করছি যে যতদিন আমার শক্তি এবং ইচ্ছে থাকবে, আমরা একসাথে পাকিস্তানকে মহান করব এবং ভারতকে পরাজিত করব।” তবে, শেহবাজ শরীফের এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই ভারতীয়রা রীতিমতো হাসাহাসি করেছেন। অনেকেই বিভিন্ন মজাদার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার হুমকি, অতিথিদের করা হবে অপহরণ? জারি সতর্কতা
ডেরা গাজী খান পরিদর্শন: শেহবাজ শরীফ বলেন যে, তাঁর সফরের উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে আশ্বস্ত করা যে বর্তমান সরকার তাঁদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান (Pakistan) বিগত কয়েক বছর ধরে গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে এবং ওই দেশটি প্রবল আন্তর্জাতিক ঋণের চাপের মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায়, শেহবাজ শরীফের এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। অনেকে তাঁকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনও কাজ না করার জন্য অভিযুক্ত করেন। এদিকে, টুইটারেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এহেন বিবৃতির কড়া সমালোচনা করা হয়।