বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘অপা’ এই নাম নিয়ে বিগত দু’বছর থেকে কম চর্চা হয়নি। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) সূত্র ধরে সামনে চলে আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। কে এই অর্পিতা? পার্থবাবুর সঙ্গে তার কি সম্পর্ক? এই নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছে এতদিন। এবারে অর্পিতা জামিন পেতেই মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী।
জামিন পেতে মরিয়া পার্থ এবার আদালতে দাঁড়িয়ে সরাসরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করলেন। তার দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আদালতে পার্থর আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেলকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
জোর সওয়াল করে পার্থর আইনজীবী বলেন, ‘নিয়োেগ দুর্নীতির টাকা পাওয়া গেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্কই নেই’। পার্থর আইনজীবী আরও বলেন, ‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় একজন অভিনেত্রী, তার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তার দাবি, ‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেখানে নিয়োগের দায়িত্ব ছিল পর্ষদ এবং প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন, তার কোনও ভূমিকাই ছিল না সেক্ষেত্রে। ‘ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই মামলায় জামিন পেয়েছেন অর্পিতা। এদিকে পার্থর আইনজীবীর দাবি, যে মামলায় পার্থ জেলবন্দি তাতে সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা হতে পারে। তার মধ্যে তো তিন ভাগের এক ভাগ জেলে কেটে গিয়েছে পার্থর। এই যুক্তিতেই ফের জামিনের আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এত অপেক্ষা করে মাত্র ২ শতাংশ! অবশেষে DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, তাও বাড়ছে ক্ষোভ
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে ইডি। সেই জুলাই মাসেই পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা সহ কেজি কেজি সোনার গয়না উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে পার্থর জামিন নিয়ে এক মত হতে পারেনি দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর তৃতীয় বেঞ্চে গিয়েছে পার্থর জামিন মামলা।