বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার নয়া ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাহসী পাইলট শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। যিনি মহাকাশে তাঁর সফর শুরুর আগে একটি ভিডিও সামনে এনেছেন। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে যুদ্ধ বিমানের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুভাংশু শুক্লা এবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) সফরকারী প্রথম ভারতীয় নাগরিক হতে চলেছেন।
কী জানালেন শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla):
জানিয়ে রাখি যে, এই ঐতিহাসিক মিশনটি অ্যাক্সিওম স্পেসের “অ্যাক্সিওম-৪” মিশনের অধীনে উৎক্ষেপণ করা হবে। যেটি “মিশন আকাশ গঙ্গা” হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এই বেসরকারি মহাকাশযানটি আগামী ১০ জুন নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন C213 মহাকাশযানের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। প্রায় ২৮ ঘন্টার সফরের পর, পি মহাকাশযানটি আগামী ১১ জুন রাত ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সাথে সংযুক্ত হবে।
View this post on Instagram
শুভাংশুর ২,০০০ ঘন্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, লখনউতে জন্মগ্রহণকারী ৩৯ বছর বয়সী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) ২০০৬ সালের জুন মাসে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তাঁর এখনও পর্যন্ত ২,০০০ ঘন্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সুখোই-৩০ এমকে ১ যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে মিগ-২১, মিগ-২৯, জাগুয়ার, হক, ডর্নিয়ার এবং এএন-৩২ এর মতো বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তিনি উড়িয়েছেন এবং পরীক্ষা করেছেন।
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের আগে চিন্তা বাড়ল টিম ইন্ডিয়ার, অনুশীলনে চোট পেলেন তারকা খেলোয়াড়
“আমি স্কুলের বইয়ে রাকেশ শর্মার কথা পড়তাম”: ২০২০ সালে, শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) ISRO-র গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত হন। এটি হল ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান প্রকল্প। এমতাবস্থায়, ৪ বছর পর, তাঁর মহাকাশ যাত্রা নতুন মোড় নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভাংশু শুক্লা বলেন, “ভারতের প্রথম মহাকাশচারী উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা ১৯৮৪ সালে মহাকাশে গিয়েছিলেন। আমি স্কুলের বইয়ে তাঁর সম্পর্কে পড়তাম এবং তাঁর অভিজ্ঞতা জেনে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: আর মাত্র ৩ মাস পরেই হবে লঞ্চ! iPhone 17-এ চমকের পর চমক, যুক্ত হচ্ছে একগুচ্ছ ফিচার্স
পাশাপাশি শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) আরও জানান, “প্রথমে আমার স্বপ্ন ছিল শুধু ওড়ার। কিন্তু পরে একজন মহাকাশচারী হওয়ার পথ খুলে গেল। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে, আমি সারা জীবন ওড়ার সুযোগ পেয়েছি এবং তারপর আমি একজন মহাকাশচারী হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমানে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি।”
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: