বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বলা হয় বিপদ কখনো সতর্কতা দিয়ে আসে না। আপনি পথে থাকুন বা ঘরে আপনার ভাগ্যে বিপদ থাকলে তা কখনোই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও একই কথা। কিন্তু জ্যোতিষ বলে দুর্ঘটনার পেছনে আছে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, দুর্ঘটনার জন্য মূলত গ্রহের অষ্টম ভাবকে দায়ী মনে করা হয়। আবার মঙ্গল, শনি, রাহু, কেতু ও চন্দ্রের প্রভাবকেও অস্বীকার করা হয় না। প্রধানত মঙ্গলই হল দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী। জেনে নিন কি কি কারনে হতে পারে .দুর্ঘটনা
- দুঃস্থানে মঙ্গল পাপগ্রহ দ্বারা যুক্ত হলে শারীরিক আঘাত প্রাপ্তি হতে পারে। অষ্টম-পতি এবং মঙ্গল পাপগ্রহের মধ্যগত বা পাপযুক্ত হলেও হতে পারে দুর্ঘটনা।
- রাহু ও মঙ্গলের সহাবস্থান বা দৃষ্টি বিনিময় ঘটলে আকস্মিক আঘাতে রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে যদি অষ্টম-পতির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী হয় তবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।গ্রহ দুটি অষ্টম-ভাবে অবস্থিত থাকলেও হতে পারে রক্তপাত।
- অষ্টমে শনি এবং চতুর্থ-পতি ষষ্ঠে অবস্থান করলেও গাড়ি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনই নানা সমস্যায় পরিপূর্ন। জ্যোতিষ মতে আমাদের জন্মছক বা পূর্বজন্মের কোনো কারনে ঘটে এই সব সমস্যার সূত্রপাত। বিভিন্ন রত্ন ধারন করলে অনেকসময় এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু অর্থনৈতিক কারনে অনেক সময় এই বহু মূল্য রত্ন আমাদের পক্ষে ধরন করা সম্ভব হয় না। জ্যোতিষ বলে রত্ন ধারন না করতে পারলেও কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চললেও এই দুর্ভাগ্যকে রুখে দেওয়া সম্ভব।