বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১৮ মার্চ ধর্মতলায় ডিএ-র (DA) দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার সকাল থেকেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে সেই প্রতিবাদ মঞ্চেই ঘটে বিপত্তি। শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা নামের এক ব্যক্তি হঠাৎই চড়াও হন নওশাদের ওপর। বিধায়ককে ধাক্কা মারার অভিযোগে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি। তবে আপাতত জামিনে মুক্ত তিনি।
তবে এত বড় কিছু ঘটে যাওয়ার পরও ক্ষমাপ্রার্থী নন বলেই জানান আব্দুল সালাম। তবে খানিক অনুতপ্ত তিনি। জামিন পাওয়ার পর আব্দুল সালাম উল্টে নওশাদের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। বাঁকড়ার ওই ব্যক্তি বলেন, “বাংলায় যাতে অশান্তির বাতাবরণ থাকে নওশাদ সিদ্দিকি সব জায়গায় সেই বক্তব্যই রাখেন। আমি সেদিন বিধায়ককে ধাক্কা মেরেছি, সেটা হয়ত উচিত হয়নি। আমি অনুতপ্ত, তবে ক্ষমা চাইছি না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে উনি অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরছেন। অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করছেন।”
ঠিক কী ঘটেছিল? বহুদিন থেকেই নিজেদের ন্যায্য ডিএ এর দাবিতে অনশন আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ১৮ মার্চে ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলনে পৌঁছন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। পূর্বেও তিনি এই আন্দোলনে পা রাখেন। কথা দিয়েছিলেন একদিন এই মঞ্চে যোগ দেবেন তিনি। সেই কথা মতোই শনিবার সেখানে উপস্থিত হন বিধায়ক।
তবে মঞ্চে তার বক্তব্য যখন শেষের পথে, ঠিক সেইসময় হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে চড়াও হন নওশাদের ওপর। বলেন, “সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন?” নওশাদ প্রশ্নের উত্তর দিতে না দিতেই তাকে সজোরে ধাক্কা মারেন ওই ব্যক্তি। নওশাদ কিছু না বললেও বিধায়কের গায়ে গত দেওয়ায় তুমুল হইচই পড়ে যায় মঞ্চে। ওই যুবককে উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। যদি, নওশাদের কথা, “পরিকল্পনা করে এই আন্দোলনটাকে ভুলুন্ঠিত করার চেষ্টা করছিল।”
পড়ে ওই যুবকের পরিচয় সামনে আসতেই আরেক শোরগোল। জানা যায়, বাঁকড়ার বাসিন্দা ওই যুবক একজন তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। বাঁকড়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তিনি। যদিও উল্টোসুরে সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহের আলি বলেন, “ ও অসুস্থ। মানসিক সমস্যা আছে। ওর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগও নেই। আমাদের পঞ্চায়েতের সদস্য মানছি তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল না। তখন বিজেপি করত। তারপর আর দলে ফেরেনি।” অন্যদিকে,শেখ আব্দুল সালাম বলেন, “অনেকে অনেক কিছুই বলবে। আমি ২০০৬ থেকে রাজনীতি করি। তাই কারও কথায় কিছু যায় আসে না।”