বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সপ্তাহ হয়ে গেল প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর আচমকা ‘ডিস্কো কিং’ এর মৃত্যু সংবাদে চমকে উঠেছিলেন সঙ্গীত প্রেমীরা। বাপ্পি লাহিড়ীর প্রয়াণের খবরটা সকলের জন্যই অনাকাঙ্খিত ছিল। কেউই প্রথমটা বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন বাপ্পি লাহিড়ী। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea) অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে সুরকার গায়কের। কিন্তু ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীর বক্তব্য অন্য রকম। তিনি বিশ্বাস করেন না, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে বর্ষীয়ান গায়কের।
সংবাদ মাধ্যমকে বাপ্পা লাহিড়ী (Bappa Lahiri) বলেন, গোটা জানুয়ারি মাসটাই হাসপাতালে কাটিয়েছেন বাপ্পি দা। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি হঠাৎ করে বাড়ি ফিরতে চান। তার পরদিনই আচমকা খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন বাপ্পি লাহিড়ী। সন্ধ্যাবেলায় পরিস্থিতি আরো আশঙ্কা জনক হয়ে উঠলে পরিবারের সদস্যরা ঠিক করেন ফের তাঁকে হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হবে।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে মধ্যরাতের কিছু আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি দা। কিন্তু চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে সুরকারের ছেলে সহমত নন। বাপ্পার কথায়, “ওটা শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল না। আমার মনে হয় বাবার হৃদযন্ত্র হঠাৎ করেই স্তব্ধ হয়ে যায়। আমার মা, দিদি, জামাইবাবু বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসক ফোন করেই বলেছিলেন তাঁকে আবারো হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আমি পুরো সময়টাই ফোনে ছিলাম।”
চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, গত বছর থেকেই এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। তাঁর ছেলে জানান, জীবনের শেষ কয়েকটা দিনেও হাসপাতালে গান শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। তাঁর সুর করা গান চালানো হলে বেডের পাশের টেবিল ঠুকে তাল দিতেন বর্ষীয়ান সুরকার। বাপ্পা জানান, একদিন রীতিমতো চিৎকার করে গান জুড়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। চমকে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীও।