বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর আগস্ট মাস থেকে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) উত্তাল গোটা বাংলা। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। শনিবার এই মামলায় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে। তবে তার আগে দেখা দিয়েছে একটি প্রশ্ন। তিলোত্তমার শরীরে যে ‘সাদা ঘন তরল পদার্থ’ পাওয়া গিয়েছিল, সেটা কী? সেই উত্তর কি মিলল?
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) অধরা একাধিক প্রশ্নের উত্তর!
আরজি কর কাণ্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মাল্টি ইনস্টিটিউশন্যাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়েছিল। দিল্লির নানান হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন, শল্য, স্ত্রীরোগ, অস্থি, চক্ষু বিভাগ সহ মোট ১১ জন ডাক্তারকে নিয়ে সেই বোর্ড গঠিত হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেই বোর্ডের তরফ থেকে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে একটি রিপোর্ট যায় বলে খবর।
সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ভোঁতা কোনও বস্তু প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে। একইসঙ্গে নাকি দাবি করা হয়েছিল, তিলোত্তমার শরীরে বীর্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর শরীর থেকে যে সাদা ঘন চটচটে তরল পদার্থের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, সেটা তাহলে কী? গতকাল এই মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও এখনও এই প্রশ্নের উত্তর অধরা বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! এবার রাজ্যে এই পদে শুরু নিয়োগ! কীভাবে আবেদন করতে হবে জানুন
দাবি করা হয়েছে, তিলোত্তমার দেহ থেকে সংগ্রহ করা সাদা ঘন চটচটে তরল পদার্থ আসলে কী সেটা জানতে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করতে সিএফএসএলে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং নানান তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে মাল্টি ইনস্টিটিউশন্যাল মেডিক্যাল বোর্ড ৪টি বৈঠক করেছিল। এরপর নিজেদের মতামত একটি রিপোর্ট হিসেবে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) কাছে তারা জমা দেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেওয়া সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, তিলোত্তমার যৌনাঙ্গে বলপূর্বক কোনও ভোঁতা বস্তু অথবা পুরুষাঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও অঙ্গ প্রবেশের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সেটি হাতের আঙুলও হতে পারে। এমতাবস্থায় নির্যাতিতার শরীর থেকে যে সাদা ঘন চটচটে তরল পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল সেটা কী? সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর নানান মহল থেকে শোনা যায়, নির্যাতিতার শরীরে নাকি ১৫১ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছে। যা ঘিরে কার্যত শোরগোল পড়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিলোত্তমার যৌনাঙ্গের ওজন ছিল ১৫১ গ্রাম। এই নিয়েই বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল।