বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মহানায়ক’ কথাটা শুনলেই আপামর বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটাই মুখ। উত্তম কুমার (Uttam Kumar), মহানায়ক উপাধির একমাত্র যোগ্য দাবিদার। বাঙালির চিরকালীন আইকনকে নিয়ে মাতামাতি কখনো থামার নয়। তাঁর অনস্ক্রিন ক্যারিশ্মা থেকে ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি জানার জন্য আগ্রহ মানুষের আগেও ছিল আর চিরদিনই থাকবে।
বাঙালির ‘পেটুক’ বলে বদনাম রয়েছেই। উত্তম কুমারও ছিলেন খাদ্যরসিক। সুপ্রিয়া দেবী যে অত্যন্ত সু রাঁধুনি ছিলেন তা তো সকলেই জানেন। উত্তম জায়া গৌরী দেবীও কিন্তু কম যেতেন না। খেতে ভালবাসতেন মহানায়ক। আর রন্ধন পটিয়সীরাও তাঁকে খাইয়ে আনন্দ পেতেন।
কী কী খেতে ভালবাসতেন উত্তম কুমার? জানা যায়, তাঁর সকাল শুরু হত তেতো খেয়ে। একটা সময় খাইয়ে হিসেবে বেশ নামডাক ছিল তাঁর। অনেকটা পরিমাণে মাংস খেতে পারতেন। রসগোল্লা খেতেও ভালবাসতেন তিনি। একবারে ৪০ টা রসগোল্লা খেয়ে ফেলারও ক্ষমতা রাখতেন।
যদিও নামডাক হওয়ার পর সে সবই ছেড়ে দিয়েছিলেন উত্তম কুমার। মাংস খেলেও মিষ্টি বেশি না খাওয়ারই পরামর্শ দিতেন সবাইকে। উত্তম কুমারের প্রিয় খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল স্যুপ। সুপ্রিয়া দেবী নাকি প্রায়ই স্যুপ বানিয়ে স্টুডিওতে নিয়ে যেতেন তাঁর জন্য। ব্রেড সহযোগে সেই স্যুপ খেতেন মহানায়ক। তাঁর আরো একটি প্রিয় খাবার ছিল লঙ্কা মুরগি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যায়, উত্তম কুমার নাকি মদিরাপ্রেমীও ছিলেন। মদ তাঁর সবথেকে প্রিয় ছিল। কখনো কখনো কম খেতেন, কখনো আবার অনেকটা খেয়ে ফেলতেন। কিন্তু মদ্যপ হয়ে অভব্যতা করতে কেউ দেখেনি তাঁকে। কিন্তু কেন মদ্যপান করতেন উত্তম কুমার?
শোনা যায়, মহানায়কের ছেলের বিয়েতে তাঁর প্রিয় ক্যাটারিং সংস্থা ভার পেয়েছিল। সংস্থার মালিক জানান, বিয়ের দিন কাজকর্ম শেষে তরুণ কুমার তাঁকে মদ্যপানের প্রস্তাব দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। পরে একদিন তাঁর সামনেই দাদার কাছে সে কথা তোলেন তরুণ কুমার। মহানায়ক সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ওসব বদ জিনিস। ‘না’ করে ভালোই করেছেন। খারাপই যদি হবে তাহলে নিজে খান কেন? সংস্থার মালিকের প্রশ্নে উত্তম কুমারের উত্তর ছিল, ‘আমিও তো খেতে চাই না! আমার চারপাশে যারা থাকে ওদের জ্বালাতেই…’।