বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ (Adani Group) এবার আদানি উইলমারে তার অংশীদারিত্ব বিক্রির ঘোষণা করেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর থেকে গ্রুপটি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১,৭১,৩৯,৮৫,০০,০০০ টাকা পেতে পারে।
বড় পরিকল্পনার পথে আদানি গ্রুপ (Adani Group):
এমতাবস্থায়, হিন্দু বিজনেসলাইনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ (Adani Group) তাদের ৩ টি প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে রয়েছে এয়ারপোর্টস তথা বিমানবন্দর, গ্রিন হাইড্রোজেন এবং একটি নতুন প্রকল্প। তবে, এই অর্থের একটি বড় অংশ বিমানবন্দর ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হতে পারে। এর পাশাপাশি আদানি গ্রুপ শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল এবং রাসায়নিক ব্যবসায় প্রবেশের ঘোষণাও করেছে। এজন্য ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইন্দোরামার সঙ্গে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ।
ওই রিপোর্টের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে যে, উইলমারের শেয়ার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের মধ্যে বিমানবন্দরের ব্যবসায় ১ থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। একইভাবে গ্রিন হাইড্রোজেন ব্যবসায় ৩০০ মিলিয়ন থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।
এর পাশাপাশি অবশিষ্ট অর্থ আদানি এন্টারপ্রাইজের অধীনে থাকা ডিজিটালের মতো নতুন উদ্যোগে ব্যয় করা হবে। গত সপ্তাহে, আদানি গ্রুপের (Adani Group) ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ FMCG কোম্পানি আদানি উইলমার থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছিল। জানিয়ে রাখি যে, ওই কোম্পানিতে আদানি গ্রুপের ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বর্তমান শেয়ারের মূল্য অনুযায়ী, এর মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার হবে।
আরও পড়ুন: এবার টেস্ট ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত ICC! ভারত সহ এই ৩ বোর্ডের সাথে হবে আলোচনা
পরিকল্পনা কি: আদানি গ্রুপ (Adani Group) জানিয়েছে যে, তারা তার মূল ব্যবসায় ফোকাস করতে চায় এবং নন-কোর ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস ইতিমধ্যেই একাধিক বিমানবন্দরকে আপগ্রেড করছে। নভি মুম্বাই বিমানবন্দরও এই বছর চালু হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এটিও তৈরি করেছে আদানি গ্রুপ। এমতাবস্থায়, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং কিছু অর্থ নতুন বিমানবন্দর অধিগ্রহণে বিনিয়োগ করা হবে। এদিকে, আদানি নিউ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রিন হাইড্রোজেনে বিনিয়োগ করছে। এর লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ১ মিলিয়ন টন বার্ষিক ক্ষমতা অর্জন করা।