বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরার পরই বিমানবন্দরেই একটি করে গোলাপ ফুল দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের হাতে। দিব্যাংশু সিং এর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি সেই নিয়মের। কিন্তু সরাসরিই সেই ফুল গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন ওই পড়ুয়া। উলটে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারত সরকারের বিরুদ্ধেই। গোলাপ প্রত্যাখান করে তাঁর সিধা প্রশ্ন, ‘কী হবে এই গোলাপ দিয়ে?’। যার কোনও উত্তর স্বভাবতই দিতে পারেনি ভারত সরকার।
বিহারের মোতিহারি থেকে ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিলেন দিব্যাংশু। এদিন বাড়ি ফেরার পথে দিল্লি বিমানবন্দরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, ‘ছাত্রছাত্রীদের এখন ফুল দিয়ে কী হবে? এসবের কোনও মানেই নেই এখন। পড়ুয়াদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ঠিক সময়মত কোনও সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেনি ভারত সরকার।’
ইউক্রেনে সম্মুখীন হওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধ লাগার পর ইউক্রেন ছেড়ে হাঙ্গেরিতে যান দিব্যাংশু। তিনি জানিয়েছেন,’হাঙ্গেরি পৌঁছানোর পর ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য পেয়েছি আমরা। তার আগে কিছুই পাওয়া যায়নি। ইউক্রেন থেকে পালানোর সময়ও সবকিছু করতে হয়েছে আমাদের নিজেদেরকেই। ১০ জন মিলে একটা ট্রেনে উঠেছিলাম। তিল ধারণের জায়গাও ছিল না সেই ট্রেনে।
তবে ইউক্রেনের মানুষ তাঁদের যথেষ্ট সাহায্য করেছেন বলেই দাবি ওই ছাত্রের। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই ভারতীয় ছাত্রের। কর্ণাটকের এক ছাত্র খাবার কিনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন রুশ বোমার আঘাতে। আর এক ছাত্র বোমা এবং যুদ্ধের ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বিমানবন্দরে ফিরে সরকারের দেওয়া গোলাপটি দেখিয়ে এই সব কিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দিব্যাংশু। ‘,ওখানে আমাদের কিছু হয়ে গেলে এই গোলাপ দিয়ে কী করত বাড়ির লোকজন?’ এই প্রশ্নই সরকারের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।