বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম। চন্দ্রচূড়ের পর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হবেন জাস্টিস সঞ্জীব খান্না। আগামী ১১ নভেম্বর শপথ নেবেন তিনি। এই আবহে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি প্রশ্ন। অবসর গ্রহণের পর কী কী কাজ করতে পারবেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়?
ফের আইনি প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবেন বিদায়ী সিজেআই (CJI DY Chandrachud)?
বিগত প্রায় দু’বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়দান করেছেন তিনি। এবার তাঁর অবসর নেওয়ার পালা। এরপর কি ফের আইনি প্র্যাকটিস করতে দেখা যাবে তাঁকে? নাকি অন্য কাজ করতে হবে? সংবিধানের ১২৪ (৭) অনুচ্ছেদে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিদের অবসর সম্বন্ধিত বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে।
সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আর আইনি প্র্যাকটিস তথা ওকালতি করতে পারবেন না।
কারণ গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ হল বিচার বিভাগ। ন্যায়বিচারের আশায় এই বিচার বিভাগের দিকেই তাকিয়ে থাকেন ভারতবর্ষের নাগরিকরা। তাই শীর্ষ আদালতের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি যদি ফের ওকালতি শুরু করেন, তাহলে তা সুপ্রিম কোর্টের ওপর এদেশের নাগরিকদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সাসপেনশন অতীত! ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্তদের নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের! জোর শোরগোল
অবসর গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আইনি প্র্যাকটিস বা ওকালতি না করতে পারলেও অন্যান্য বেশ কিছু কাজ করতে পারেন। আরবিট্রেশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন অ্যাক্ট, ১৯৯৬ অনুসারে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর আইনি সালিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)।
সেই সঙ্গেই ইচ্ছে হলে শিক্ষকতা সম্বন্ধিত কোনও পেশাও বেছে নিতে পারেন। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কিংবা জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যালের মতো কমিশনের প্রধান হিসেবেও কাজ করতে পারেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সরকার যদি চায় তাঁকে কোনও প্রশাসনিক পদে আসীন করতে পারেন। বিদায়ী সিজেআইয়ের (Chief Justice of India) ইচ্ছে না হলে তিনি কোনও কাজ নাও করতে পারেন।
এদিকে শুক্রবার ছিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud) কর্মজীবনের শেষ দিন। বিদায়ী ভাষণে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই আদালতই আমায় এগিয়ে নিয়ে যায়। আমায় চালনা করে। এমন মানুষদের সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়, যাদের চিনি না। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। বুঝেছি, কোনও মামলাই আগের মামলার মতো নয়। কখনও যদি আঘাত দিয়ে থাকি ক্ষমা করবেন। বিপুল উপস্থিতির জন্য আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ’।