বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুধু শ্রুতিমধুর কণ্ঠ, সুপারহিট সব গান নয়, অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Abhijeet Bhattacharya) পরিচিত আরো একটি বিশেষ কারণে। সেটা হল তাঁর স্পষ্টবাদিতা। মনের কথা কোনো প্যাঁচ ছাড়াই প্রকাশ্যে বলে দেন তিনি। এর জন্য কম বিতর্কেও জড়াননি গায়ক। এমনকি তাঁকে ‘নাকউঁচু’ তকমাও পেতে হয়েছে। তবুও নিজেকে বদলাননি অভিজিৎ। সত্যিটা তেতো হলেও বলতে ডরান না তিনি।
বেশ কয়েক বছর আগে ‘অপুর সংসার’ শো তে এসে সঙ্গীত এবং বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে কিছু বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন। বিশেষত অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানকে নিয়ে তিনি যা বলেছিলেন তা নিয়ে আজো চর্চা হয়। অভিজিৎ জোর গলায় বলেছিলেন, এ আর রহমানকে তিনি মিউজিশিয়ান বলে মানেনই না। তিনি সমস্ত শিল্পীদের পেটে লাথি মেরেছেন।
অভিজিৎ খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, এ আর রহমান গান গাওয়াতেই পারেন না। উনি নিজে গান গেয়ে শোনাতেই পারেন না। তাঁর সহকারী গান গেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বক্তব্য অভিজিতের। তাঁর কথা শুনে এদিকে হতভম্ব অবস্থা সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের।
তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, এ আর রহমানকে কী জিজ্ঞাসা করতে চাইবে? অভিজিতের তৎক্ষণাৎ উত্তর ছিল, ‘এই যে সব মিউজিশিয়ানরা বসে রয়েছেন, এ আর রহমান এদের সবার পেটে লাথি মেরেছেন। উনি এ জগৎকে শেখালেন, তোমাকে মিউজিশিয়ান হওয়ার দরকার নেই, স্কুলে যেতে হবে না। সরস্বতী আরাধনা করতে হবে না। তোমরা শুধু একটা ল্যাপটপ নিয়ে আসো, কাউকে দিয়ে গাইয়ে দাও। আমি এ আর রহমানকে মিউজিশিয়ান মনেই করি না।’
নিজের বক্তব্য বোঝাতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, রাহুল দেব বর্মন বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে অদ্ভূত ভাবে মাথা খাটিয়ে সুর তৈরি করতেন। সেটা ছিল এক্সপেরিমেন্ট। আর এ আর রহমান কোনো বাদ্যযন্ত্র বা অন্য কিছু দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেননি। তিনি যা করেছেন সব টেকনোলজি দিয়ে।
এখানেই থামেননি অভিজিৎ। অরিজিৎ সিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, এখন সব গানই অরিজিৎ গাইছেন। ভাল গান, কিন্তু অনেকে বলেন এটা নাকি আসল অরিজিৎ নয়। পাশাপাশি জনপ্রিয় গায়ক এও বলেছিলেন, এখন সবাই সঙ্গীত পরিচালক, অটো টিউনের দৌলতে সবাই গায়ক গায়িকা। এখনকার দিনে সিঙ্গার ‘বনতা হ্যায়’। আর তাঁরা জন্মগত গায়ক।