বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের টলিউডের শক্ত খুঁটিগুলোর মধ্যে একজন ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। অগুন্তি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বেশিরভাগই হিট। একসময় বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দায় পা রাখলেন। সেখানেও যেকটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সবকটিই জনপ্রিয়। কিন্তু সিনেমা থেকে সিরিয়ালে আসতে হল কেন তাঁকে?
একবার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের একটি টেলিভিশন শোতে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। একটা সময়ের পর থেকে নায়ক অভিষেককে আর দেখা যায়নি কেন? অভিনেতা উত্তর দিয়েছিলেন, প্রথমত ভাগ্য। আর দ্বিতীয় কারণ হল ভয়ঙ্কর রাজনীতি যেটা তিনি স্বচক্ষে দেখেছিলেন।
শাশ্বতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, “তোদের প্রিয় দাদা আর দিদি, টপ হিরো ও টপ হিরোইন। তাঁরা দুজনে জোট বেঁধে আমাকে যে কত ছবি থেকে বাদ দিয়েছে, আমার সাইন করা ছবি। অন্তত ১২-১৪ টা ছবি এমন। আর নতুন ছবি বললে আরো ১২-১৪ টা, যেখানে আমাকে নায়ক হিসাবে ভাবা হয়ে গিয়েছিল। এমন ২০-২২ টি ছবি থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।”
অভিষেক জানিয়েছিলেন, সে সময়ে প্রথম সারির অভিনেতা ছিলেন তিনি। এই রাজনীতির কারণে তাঁর হাত থেকে সব কাজ বেরিয়ে যায়। এক বছর কোনো কাজ ছিল না তাঁর। শেষমেষ খাওয়ার জন্য লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে টাকা বের করতে হয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও কখনো পালটা প্রশ্ন করেননি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। শাশ্বতকে তিনি জানিয়েছিলেন, অন্যায় না করলে মাথা নীচু করবেন না তিনি। কিন্তু ওই ধাক্কাটার পর আর তিনি ফিরে আসতে পারেননি। না, সেদিন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় কারোর নাম করেননি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিতটা যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দিকেই ছিল তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই। পরবর্তীকালেও এই হিট জুটির দিকেই আঙুল তুলেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।