বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের নতুন প্রজন্মের সফলতম স্টারকিড আলিয়া ভাটকেই (Alia Bhatt) বলা যায়। প্রথা মেনে করন জোহর (Karan Johar) পরিচালিত ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে সাফল্য পেয়েছেন নিজের যোগ্যতাতেই। অত্যন্ত কম সময়ে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারিতে এনে বসিয়েছেন তিনি। তবে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (Aishwarya Rai Bachchan) দৃষ্টিভঙ্গিটা ছিল একটু অন্য রকম।
‘গডফাদার’ করনের দৌলতেই নাকি আজ এত বাড়বাড়ন্ত আলিয়ার। তিনি কার্যত সবকিছু মুখের সামনে ধরে দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। একথা আলিয়াকে নিজেই বলেছিলেন ঐশ্বর্য। কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল মহেশ ভাট কন্যার? পড়ে নিন বিস্তারিত-
শেষবার ঐশ্বর্যকে দেখা গিয়েছিল ‘ফ্যানি খান’ ছবিতে। তখনি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আলিয়ার কথা তোলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, সুযোগ এসে আলিয়ার হাতের কাছেই পড়ে থাকে। একটুও খাটতে হয় না তাঁকে।
ঐশ্বর্য বলেছিলেন, করন প্রথম থেকেই আলিয়াকে অনেক সাহায্য করেছেন। আলিয়া সত্যিই ভাগ্যবতী, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার লড়াইটা একেবারেই কঠিন হয়নি তাঁর কাছে। কারণ আলিয়া জানেন যে, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁর হাতে একের পর এক এক ভাল সুযোগ আসতেই থাকবে। ঐশ্বর্য বলেছিলেন, রীতিমতো আলিয়ার সামনে ধরে দেওয়া হয় সমস্ত সুযোগ সুবিধা। অভিনেত্রীর কথা শুনে নাকি শুধুই হেসেছিলেন আলিয়া ভাট।
তবে তাঁর হয়ে উত্তরটা দিয়েছিলেন নেটনাগরিকরাই। ঐশ্বর্যকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, করন জোহর অত বোকা নয়। তিনি আলিয়াকে ছবিতে সুযোগ দেন কারণ বিনিময়ে তিনিও ভাল ব্যবসা করার সুযোগ পান। আলিয়ার জায়গায় অন্য কোনো তারকা সন্তান হলে এত ভাল কেরিয়ার বানানো অসম্ভব হত তাঁর কাছে। আর তাছাড়া ঐশ্বর্য নিজেই যেখানে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন সেখানে তাঁর এত কথা মানায় না।