বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা সিনেমার উত্তম-সুচিত্রার জুটির মতোই বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক জগতে অন্যতম একটি চর্চিত জুটি হল শোভন-বৈশাখী। কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
কিন্তু তবুও একে অপরের সাথ ছাড়েননি তারা। বর্তমানে একসাথেই লিভ ইন করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় গত এপ্রিল মাসে তার প্রাক্তন স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের সাথে ডিভোর্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে একসাথে ‘সংসার’ করছেন শোভন ও বৈশাখী।
সোশ্যাল মাধ্যমে তারা নিয়মিত তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও শেয়ার করেন। একটি টিভি চ্যানেলের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানের সবার সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছিলেন শোভন। আইনিভাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও এখনও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাথে ডিভোর্স সম্পূর্ণ হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও দিনই স্বীকৃতির অভাব ছিল না। আসলেই সমাজের অভাব ছিল। আমাদের মধ্যে যে সততার অভাব নেই সেটাও দেখেছে সমাজ। আমরা দুটি প্রাণহীন সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে আমাদের যেখানে আনন্দ, শান্তি সেটাকে বেছে নিয়েছি। দর্শকদের কাছে এটা হয়তো নতুন অনুভূতি। আমাদের মনে হয় আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করি।”
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, “আমি আর শোভন ঘটা করে বিয়ে করবই। পরিকল্পনা আছে আমাদের। কেউ ২২ বছর ঘুরিয়ে দেয় যদি তাহলে ওর বয়স হবে ৮০, আমি তখন ৬৫, তখনও বিয়েটা হবে।” বৈশাখী জানিয়েছেন তিনি সিঁদুর পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায় এর নামে।
বৈশাখী জানান, সিঁদুর পড়া নিয়ে একবার মনোজিৎ তাকে খুব অপমান করেছিলেন। সেদিন তিনি সিঁদুর না পড়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তখন শোভন জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন তিনি সিঁদুর পড়েননি? তখন শোভন বলেছিলেন, আজ থেকে তুমি আমার নামে সিঁদুর পড়বে। সেদিন থেকে প্রত্যেকদিন এমনটাই করে আসছেন বৈশাখী।
বৈশাখীর দাবি, শোভন যদি তাদের সম্পর্কটাকে নামহীন করে রাখতে চাইতেন তাহলে তিনি এই সম্পর্কে থাকতেন না। শোভনের সাথে থাকা মানে একজন ক্ষমতাশীল ব্যক্তির ছাতার তলায় থাকা নয়। বরঞ্চ একজন ভালোবাসার মানুষের সাথে জীবন কাটাতে পারা। শোভনও নাকি এভাবে তাকে সিঁদুর পড়তে দেখে পছন্দ করেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা