বাংলাহান্ট ডেস্ক : দল ছাড়লেও পদ ছাড়লেন না অর্জুন সিং। রবিবার ক্যামাক স্ট্রীটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ তিন বছর পর তৃণমূলে ফিরলেও ব্যারাকপুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে দেখা গেল না তাঁকে। গতবছর বাবুল সুপ্রিয়ও বিজেপি সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে তবেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু এবার অর্জুন সিংয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেল অন্য ছবি। এখনই সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন না অর্জুন, নিজেই জানিয়ে দিলেন একথা।
রাজনীতির ব্যাপারিদের দাবি, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে টিকিট না পাওয়াকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন অর্জুন। এরপর সেবছরই দলত্যাগ করে বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুরের সাংসদ হন। এদিন সেই সাংসদ পদ ত্যাগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ তৃণমূলের টিকিটে জেতা এমন দু জন সাংসদ আছেন, যাঁরা বিজেপির সঙ্গে সারাক্ষণ রয়েছেন। ওঁরা যেদিন সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন, তার এক ঘণ্টার মধ্যে আমিও ছেড়ে দেব।’
ঠিক কোন দুজনের কথা বললেন অর্জুন সিং? কারও নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিতে মোটেই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কাঁথি এবং তমলুকের তৃণমুলের টিকিটে জেতা দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে অমিত শাহের একটি সভাতে বিজেপির মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ শিশির অধিকারীকে। ওদিকে সরাসরি প্রকাশ্য মঞ্চে দেখা না গেলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
এবার এই দুই সাংসদকেই বিঁধতে চাইলেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, ওঁরা তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হতে পারলে তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না কেন। তাই ওই দুই সাংসদ পদত্যাগ না করা অবধি তিনিও ছাড়ছেন না ব্যারাকপুরের গদি একথাই এদিন স্পষ্ট করলেন অর্জুন সিং।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট