বাংলাহান্ট ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, টিআরপির লোভে বিতর্কের মাত্রা আরো বাড়াচ্ছে ‘বিগ বস’ (Bigg Boss)। ফলতঃ নেমে যাচ্ছে শোয়ের মান। অনেকদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন দর্শকরা। তবে এবারে যেন সমস্ত সীমা অতিক্রম করতে বসেছে বিগ বস।শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত পরিচালক সাজিদ খানকে (Sajid Khan) শোতে প্রতিযোগী বানিয়ে সমস্ত সম্মান খুইয়েছে নির্মাতারা।
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে এক নয়, একাধিক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন মন্দনা করিমি, আহানা কুমরা, সালোনি চোপড়ার মতো এক সময়ের উঠতি অভিনেত্রীরা। শুধু তাই নয়। প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খান এবং তাঁর বোনের দিকেও নাকি নিজের লালসা মাখা হাত বাড়িয়েছিলেন সাজিদ খান।
গত বছর সংবাদ সংস্থা বিবিসির একটি ডকুমেন্টরির অন্তর্ভুক্ত ভিডিওতে সাজিদ খানের বাড়িতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত জিয়া খানেরের বোন করিশ্মা খানকে।
তিনি জানিয়েছিলেন, এই ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬। দিদি জিয়া খানেরের সঙ্গে সাজিদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেদিন একটি সরু স্ট্র্যাপের পোশাক পরেছিলেন করিশ্মা। অনেকক্ষণ ধরে তাঁকে লক্ষ্য করছিলেন সাজিদ। একটা সময় তিনি জিয়াকে বলে ওঠেন, করিশ্মা তাঁর সঙ্গে সঙ্গম করতে চান। দিদি জিয়াই সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়ে পরিচালকের নোংরা দৃষ্টি থেকে বোনকে বাঁচিয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়। ওই সাক্ষাৎকারে করিশ্মা আরো জানিয়েছিরেন, সাজিদের বাড়িতে ছবির চিত্রনাট্য পড়তে গিয়েছিলেন জিয়া। তখন পরিচালক তাঁকে তাঁর পোশাক ও অন্তর্বাস খুলতে বলেন। সেদিন বাড়ি ফিরে জিয়া রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন করিশ্মা। জিয়া বলেছিলেন, তিনি চুক্তিবদ্ধ। এমন অবস্থায় ছবি না করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। আর ছবি করতে হলে তাঁকে যৌন হেনস্থা সহ্য করতে হবে।
জিয়া প্রয়াত হয়েছেন অনেক বছর হয়ে গেল। শুধু সাজিদ খান নয়, মহেশ ভাট এবং সুরজ পাঞ্চোলির অভব্যতাও সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। এখনো পর্যন্ত তাঁর মা অপেক্ষা করে আছেন বিচারের আশায়। এহেন সাজিদ খানকে প্রতিযোগী করে বিগ বস যে দর্শকদের নজরে অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে তা বলা বাহুল্য।