বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুর পর একের পর এক অভিযোগের তীর ধেয়ে এসেছে করন জোহরের (karan johar) দিকে। নেপোটিজম থেকে পেশাগত হয়রানি, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলিপাড়ার ছোট বড় সব অভিনেতা অভিনেত্রীই। তিনি কঙ্গনা কথিত ‘মুভি মাফিয়া’৷ এবার প্রকাশ্যে এল করনের আরেক কুকীর্তি, প্রখ্যাত অভিনেতা অজয় দেবগণকেও (ajay devgan) বিপাকে ফেলতে চেয়েছিলেন করন।
বলিউডের সাথে সম্পর্ক থাকলেও অজয় তথাকথিত স্টার কিড নন। আজ অজয় যে স্টারডম ভোগ করছেন তা সমস্তই তার নিজের পরিশ্রমের ফসল। একই সাথে বলিউডে তিনি যে কোনো বিতর্ক থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু বলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়, নিজে ঝামেলায় জড়িয়ে না পড়লেও অজয়কে ঘাঁটালে রক্ষা নেই। ঠান্ডা মাথার অজয়ের কাছে প্রতিপক্ষ ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়।
শোনা যাচ্ছে, এহেন অজয়ের সাথেও একবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন করন৷ ২০১৬ সালে অজয় দেবগনের ‘শিবায়’ এর সাথে ইচ্ছে করেই ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ রিলিজ করে করন। শুধু তাই নয়, অজয়ের ছবিকে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে ফেলার জন্য ফিল্ম ক্রিটিক কমল আর খানকে টাকা দিয়ে নেতিবাচক সমালোচনাও প্রচার করেন করন। যদিও এর কিছুই অজয়ের ছবির বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারেনি। উল্টে বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয় রনবীর – ঐশ্বর্য – অনুস্কা অভিনীত ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’।
এই ঘটনার জেরে অজয় – করন সম্পর্কের রসায়ন তলানিতে ঠেকে। এর পরে অজয়কে ক্ষমা চাইতেও চাপ দেন করন। কাজলকে ব্যবহার করে করনের এই প্ল্যানও ফেল করে। কাজল অজয়ের পাশেই দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসেন অজয়ই। নিজের শোতে করন স্বীকার করতে বাধ্য হন, যে তার এমনটা করা উচিত হয় নি।
যদিও এই প্রথম নয়, বলিউডের তথাকথিত স্টারকিড না হওয়ায় বারবার হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে অজয়কে। তথাকথিত নামী ও নেপোটিজম এর ধ্বজাধারী কোনো প্রযোজনা সংস্থাই কাজ করেনি অজয়ের সাথে। উল্টে বারবার অজয়ের ছবিকে লোকসানের মুখ দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। শাহরুখের ‘জব তক হ্যায় জান’ ও অজয়ের ‘সন অফ সর্দার’ এর বচসা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। যদিও বরাবরের মতই শেষ হাসি হেসেছিলেন অজয়ই। অভিনয় দক্ষতা, পরিশ্রম ও মনোবল দিয়ে অজয় আজও টিকে আছেন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্টার হয়ে।