বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমরা ছোটবেলায় রচনা পড়েছি গরুর। কিন্তু কুকুরের রচনা কখনো পড়িনি। কিন্তু একটি ছোট বাচ্চা ও জানে একটি গরু এবং একটি কুকুর দুজনেই চারটি পা। এবং তারা উভয়ে পশু। তাহলে প্রশ্ন যে কুকুর প্রেম যদি প্রেম হয়ে থাকে তাহলে গরু প্রেম কি অন্যায়? তাহলে এইখানে প্রশ্নটিকে ঘিরেই যাবতীয় জটিলতা । পথের কুকুরদের জন্য সংসদের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য পেশ করতে পেরে খুশি উদ্বিগ্ন সাংসদ। মিমি চক্রবর্তীর পশুপ্রেমের কথা অনেকেই জানেন। মূলত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি এখন জনপ্রতিনিধি। পশুপ্রেমী সেই তারকাই যখন রাজনীতির রণাঙ্গনে, তখন পশুদের অধিকার আদায়ে তিনি যে সরব হবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। সাংসদ মিমির কথায়, তিনি এমন অনেক জায়গাতেই গিয়েছেন যেখানে রাস্তার কুকুর তথা পশুদের সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আর তিনি অনেকদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে চলেছেন এমনকী, আরজি রাখা হয়েছে সেই সমস্যার সমাধান করারও। তাঁদের হয়ে এবং সেই অবলা প্রাণীদের হয়েই অধিবেশনে মন্তব্য রেখেছেন সাংসদ।
এদিকে উত্তরপ্রদেশে গরুকে কোট দেওয়া নিয়ে চলছে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু পক্ষান্তরে যুক্তি যেখানে পশু মানে শুধু কি কুকুর? গরুকে বোঝায় না? তাহলে কি শুধুই এটা ধর্মান্তকরণের জন্যই রাজনীতিকে বিরোধীরা? প্রশ্ন এখানে
নিগম কর্তৃপক্ষের যুক্তি, কনকনে শীতে শুধু মানুষ নয়, কষ্ট হয় প্রাণীদেরও। তাই এবার শীতের কষ্ট দূর করার জন্য গরুদের জন্য শীতবস্ত্রের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে সব প্রাণীর ঠান্ডা লাগা নিয়ে অবশ্য উদ্বিগ্ন নয় তারা। তাই তাদের এই পদক্ষেপ শুধু গরুকে নিয়েই তাদের চিন্তাভাবনা। শীত এসেও গেছে প্রায়। সে জন্যই তাদের তরফে ১২০০ গরুর জন্য শীতবস্ত্র বানানোর অর্ডার দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি। আর এটাকে ইস্যু করে চলছে রাজনীতির পারদ।
অযোধ্যার মেয়র ও বিজেপি নেতা হৃষীকেশ উপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “শীতের সময়ে গরুদের অনেকেই ঢেকে রাখেন। শীত থেকে বাঁচার জন্য পাটের বস্তা বা অন্য কিছু চাপানো হয় তাদের গায়ে। কিন্তু সে চাপা সব সময় থাকে না। ফলে তারা কষ্ট পায় শীতে। কিন্তু এবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি পাট দিয়ে কোট তৈরি করানোর। গরুর শরীরের মাপমতো ভাবে তৈরি হবে কোট। সেগুলি পরিয়ে দিলে গরুর শীত করবে না আর।”