বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’জনেই টলিপাড়ার জনপ্রিয় নায়িকা। তাঁদের কেরিয়ার গ্রাফটাও প্রায় একরকম। একইসঙ্গে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন। আবার একইসঙ্গে রাজনীতির আঙিনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসা, গোপন কথা শেয়ার করা, এসব তো লেগেই থাকতো! একবার নুসরতের জীবনের এমনই এক ‘গোপন’ কথা সর্বসমক্ষে ফাঁস করেছিলেন মিমি।
সহকর্মী হিসেবে প্রথম আলাপ হলেও, অল্প সময়ের মধ্যেই ভীষণ মজবুত হয়ে ওঠে মিমি-নুসরতের সম্পর্ক। একে অপরকে ‘বনুয়া’ বলে সম্বোধন করেন তাঁরা। একবার নিজেদের সেই সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েই মুখ খুলেছিলেন দু’জনে। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘অপুর সংসার’ শোয়ে এসে এই নিয়ে কথা বলেছিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই প্রাক্তন সাংসদ।
শাশ্বত প্রশ্ন করেছিলেন, নুসরতের জীবনের এমন কোনও গোপন সত্যি, যা কেউ জানেন না! জবাবে হাসতে হাসতে মিমি (Mimi Chakraborty) বলেন, বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ নাকি খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। তাঁর কথায়, ‘আমি পারি, তবে ও একটু বেশিই পারে। মাঝে মাঝে যেন কোথায় হারিয়ে যায়। ও ভুলে যায় যে ও নায়িকা, ওকে সংলাপ বলতে হবে। এরপর রোলিং বলার সঙ্গে সঙ্গে ও খুব সহজেই প্রশ্ন করতে পারে, আমায় যেন কী করতে হবে?’
আরও পড়ুনঃ নাবালকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা! নিয়োগ, রেশনের পর কৃষকবন্ধু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল
‘বনুয়া’র জীবনের এই ‘গোপন’ কথা ফাঁস করার পাশাপাশি মিমি এও বলেছিলেন, নুসরত তাঁকে বহুবার বাঁচিয়েছেন। টলি সুন্দরী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো এমন হয়েছে যে তাঁর মা কোনও কারণে তাঁকে ধরে ফেলেছেন, মিমি চুপ। তখন নুসরতের কাছে ফোন যায়। নুসরত তখন বলে দিতেন, ‘না কাকিমা ও তো এখানে ছিল না’।
আবার সংবাদপত্রে যদি তেমন কিছু বেরতো, তাহলে নুসরত আগেভাগে তাঁকে ফোন করে কাগজটা লুকিয়ে দিতে বলতেন। ফোন ধরা মাত্রই ওপার থেকে নুসরত বলতেন, ‘ঘুমোচ্ছিস নিশ্চয়ই ? আগে কাগজটাকে লুকিয়ে ফেল’। টলিপাড়ার চর্চিত ‘বনুয়া’র সম্পর্কটা ঠিক কেমন তা এখান থেকেই বেশ বুঝে নেওয়া যায়।