মায়ের বয়সী শর্মিলাকে ঠাটিয়ে থাপ্পড় প্রসেনজিতের! কী এমন হয়েছিল? তোলপাড় টলিপাড়া!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা শুধু নন, ভক্তদের কথায় তিনিই ‘ইন্ডাস্ট্রি’। বুঝতেই পারছেন, এখানে কথা হচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee)। বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে ভালো নামডাক করে ফেলেছেন বুম্বাদা। ‘স্কুপ’, ‘জুবিলি’তে তাঁর অভিনয় আদায় করে নিয়েছেন প্রশংসা। সদ্য প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এই সিনেমা। তবে আপনি কি জানেন, এই বুম্বাদাই একবার কিংবদন্তি শর্মিলা ঠাকুরকে থাপ্পড় মেরেছিলেন।

শর্মিলাকে কেন চড় মেরেছিলেন প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee)?

টলিউড, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র প্রসেনজিৎ। অন্যদিকে শর্মিলাকেও (Sharmila Tagore) একডাকে চেনে সিনেদুনিয়ার সকলে। সেই অভিনেত্রীকেই কিনা একবার চড় মেরেছিলেন টলিপাড়ার ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’। কেন থাপ্পড় মেরেছিলেন? ‘অযোগ্য’ ছবির প্রচারে সম্পূর্ণ কাহিনী শেয়ার করেন বুম্বাদা।

এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অভিনেতা বলেন, তখন তাঁর বয়স খুবই কম। ৪ বা ৫ বছর হবে। প্রসেনজিৎ বলেন, আমি একটা দৃশ্য দেখছিলাম, যেখানে শর্মিলা আন্টি বাবাকে চড় মারবে। এটা নায়ক-নায়িকার আবেগঘন দৃশ্যের অংশ ছিল। সেই দৃশ্যের কারণেই অভিনেত্রীকে পরে থাপ্পড় মেরেছিলেন ছোট্ট বুম্বাদা।

আরও পড়ুনঃ ‘ইষ্টি কুটুমে’র কমলিকা রূপে জিতেছিলেন দর্শকমন! কোথায় হারিয়ে গেলেন অঙ্কিতা? রইল খবর

অভিনেতা বলেন, লাঞ্চ ব্রেকের সময় তাঁকে ডেকে কোলে বসান শর্মিলা। তখনই অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মারেন তিনি। প্রসেনজিতের (Prosenjit Chatterjee) কথায়, ‘এখনও যখন ওনার সঙ্গে দেখা হয় উনি আমায় থাপ্পড় মারার এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, ‘আমি তোমার বাবাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম বলে তুমি আমায় চড় মেরেছিলে’। উল্লেখ্য, ‘প্রভাতের রঙ’ এবং ‘ইয়ে রাত ফির না আয়েগি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন বিশ্বজিৎ-শর্মিলা। এর মধ্যে একটি ছবির শ্যুটিংয়েই এই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে হয়।

Prosenjit Chatterjee Sharmila Tagore

প্রসেনজিতের কাজের নিরিখে বলা হলে, দীর্ঘদিন পর ফের ঋতুপর্ণার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেতা। বক্স অফিসে ফের হিট ‘অযোগ্য’ জুটির ছবি। ৩ কোটির ওপর ব্যবসা করেছে তাঁদের ৫০তম সিনেমা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর