বাংলাহান্ট ডেস্ক: নেপোটিজম সর্বস্ব বলিউডে যেখানে নিজের বংশের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর থাকেন তারকারা, সেখানে এমনো কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীরা আছেন যারা অন্য পথে হেঁটেছেন। সন্তান দত্তক (Adoption) নিয়ে মা বা বাবা হয়েছেন এমন তারকার সংখ্যা কম হলেও নেহাত নগণ্য নয়। এদের মধ্যে আবার একজন নব্বইয়ের দশকে সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণার বিপরীতে হাঁটার সাহস দেখিয়েছেন। তিনি রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon)।
মাত্র ২১ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন রবীনা। দত্তক নিয়েছিলেন দুই মেয়ে পূজা এবং ছায়াকে। সেটা ১৯৯১ সাল। তখনো বিয়ে হয়নি রবীনার। খবরটা দীর্ঘদিন পর্যন্ত সমাজ এবং মিডিয়ার চোখ কান বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কেন এমনটা করেছিলেন রবীনা?
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, সংবাদ মাধ্যমের কেচ্ছা রটানোর ভয়ে তিনি দত্তক নেওয়ার ব্যাপারটা লুকিয়ে রেখেছিলেন। সে সময়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়েও বড় কেচ্ছা রটে যেত। রটাত এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমগুলি। চটুল শিরোনাম দিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রীদের নামে ভুয়ো খবর রটানো হত। সেই ভয়টাই পেয়েছিলেন রবীনা।
তিনি বলেন, “আমি যখন মেয়েদের দত্তক নিয়েছিলাম, প্রথম দিকে তাদের ব্যাপারে কোনো কথাই বলতাম না। ওরা দশম শ্রেণি পাশ করার পর আমার সঙ্গে শুটিংয়ে আসতে শুরু করল। তখন সবাই জিজ্ঞাসা করত, এই মেয়েরা কারা? আর তখনি আমি ওদের বলতে শুরু করি পুরো বিষয়টা।”
রবীনা আরো বলেন, তখন এক বললে সেটার আরেক গল্প বেরোতো। তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে হয়তো খবর বেরোতো যে লুকিয়ে মা হয়েছেন রবীনা। উঠত তাঁদের পিতৃপরিচয়ের প্রশ্ন। এতটাই নোংরামি ভরা ছিল সে সময়ে সবার মনে! এই ধরণের কেচ্ছা এড়ানোর জন্যই রবীনার মনে হয়েছিল, ব্যাপারটা নিয়ে কিছু না বলাই ভাল হবে।
রবীনার দুই দত্তক মেয়ে পূজা আর ছায়া দুজনেই এখন বিবাহিত। নিজেদের সন্তানও হয়েছে তাঁদের। রবীনার যখন বিয়ে হয় তখন তাঁরাই মণ্ডপে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে। অভিনেত্রী অবশ্য দুই সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। তাদের নাম রাশা এবং রণবীরবর্ধন।