রাখে হরি মারে কে! ভয়াবহ করমণ্ডল দুর্ঘটনার মধ্যেও অক্ষত ঘুরতে যাওয়া ১১০ জনের দল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল গোটা দেশ সাক্ষী থেকেছে এক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার। উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই একই জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি মালগাড়ি ও হাওড়াগামী হমসফর এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনশর কাছাকাছি মানুষ। হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

অনুমান করা হচ্ছে নিহত ও আহত এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এমন অবস্থায় অবিশ্বাস্য একটি খবর সামনে আসছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে থাকা ১১০ জনের একটি ট্যুরিস্ট দল সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছেন। গতকাল হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

এরপর উড়িষ্যার বালেশ্বর এর কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িকে।
ধাক্কা মারার পর খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন যাত্রীদের রক্ষা করতে। যত সময় এগোতে থাকে ততই সন্ধান পাওয়া যায় একের পর এক মৃতদেহের। এখনো চলছে উদ্ধারকার্য। গতকাল থেকে এখনো পর্যন্ত একের পর এক হতাশাজনক খবর সামনে আসছে।

এরইমধ্যে জানা গেল ১১০ জনের একটি টুরিস্ট দল ওই ট্রেনে করে ঝাড়খন্ড যাচ্ছিলেন। তারা বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন। সূত্রের খবর, ১১০ জনের ওই দল এসেছেন চিক্কামাগালুরু থেকে। ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে তারা যাচ্ছিলেন ঝাড়খণ্ডের সামেদ শিখরজিতে। জানা গিয়েছে এনারা প্রত্যেকেই ছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে।

Coromandel 1

অন্যদিকে, আজ দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে তিনি রেল আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহ শনাক্ত করে তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন আহতদের সুচিকিৎসার।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর