বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিদিন নিত্য রকমের ঘটনা ঘটছে সেখানে। শেখ হাসিনা গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে বেড়েছে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশের যে ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি আলোড়ন ফেলে তা হচ্ছে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার। রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে দু’মাস আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আর তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। নিম্ন আদালতের তরফ থেকে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু বিচার অধরা:
জানা যায়, বাংলাদেশে (Bangladesh) উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে। নিম্ন আদালত থেকে জামিনের আবেদন খারিজ করা দেওয়ায়, ঢাকা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। তবে শুনানির তারিখ আসছে কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না। সোমবারও অধরা থেকে গেল তাঁর বিচার। ২০ তারিখ ছিল শুনানির তারিখ। কিন্তু সেদিনও হয়নি শুনানি, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এই বিষয় কি বললেন চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী: জানা যাচ্ছে, শুনানির তালিকায় এই মামলা অনেকটা পিছনে থাকার কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী সুমনকুমার রায় এই বিষয়ে বলেন, “শুনানির তালিকায় এই মামলার সিরিয়াল অনেকে পিছনে ছিল। আমাদের সিনিয়র আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত জানিয়েছে, এটি সেন্সিটিভ মামলা। সিরিয়াল অনুযায়ী যখন মামলাটি শুনানির জন্য আসবে, তখন শুনানি হবে। ফলে আজ জামিনের শুনানি হচ্ছে না। চেষ্টা করা হবে আগামী সপ্তাহে যাতে শুনানি হয়।”
আরও পড়ুনঃ ‘ওই টাকা চাই না’! সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ায় CBI তদন্ত নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা?
এই বিষয়ে আরও এক আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ১২ জানুয়ারি ঢাকা হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন জানাই।” পাশাপাশি তিনি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে বলেন, “যেকোনও জমায়েত কিংবা সভায় বক্তব্যের শুরুতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রথমেই বলতেন, মা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়ে ভাল।” এখানেই শেষ নয়, এই আইনজীবির মতে, যে পতাকার অবমাননার কারণে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পতাকা নয়। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আদালতের অনুমতি ছাড়া দেওয়া যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি।
আরও পড়ুনঃ ‘ওই টাকা চাই না’! সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ায় CBI তদন্ত নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা?
প্রসঙ্গত, ২০২৪-এ ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির ২ তারিখ তাঁর জামিন খারিজ করে দেয় চট্টগ্রামের নিম্ন আদালত। এরপর পরবর্তীতে ফের আবেদন করা হলে পিছিয়ে যায় শুনানি। জানা যাচ্ছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফাতারি এবং শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার কারণে চিন্তিত ভারতের বিদেশমন্ত্রক। একদিকে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, তার উপর চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার সব মিলিয়ে এখন উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)।