বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা (COVID-19) আতঙ্ক। সবকিছু ছেড়ে বিশ্ববাসী এখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে। সমগ্র বিশ্বে এখনও অবধি প্রায় ২৭৬১০৪ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১১৪০২ জন। ভারতে এই মুহুর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ এবং মৃতের সংখ্যা ৫। দেশ জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের আঁতুড় ঘর চীন এখন অনেকটা সুস্থ। চীনকে টেক্কা দিয়ে এখন এগিয়ে গেছে ইটালি।
কলকাতায় (Kolkata) বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩। তবে এই তিনজনেই আক্রান্ত দেশগুলো থেকে সম্প্রতি ভারতে ফিরেছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁদের পরিবার এবং তাঁদের সংপর্শে আসা ব্যক্তিদের রাখা হচ্ছে আইসোলেশনে। তবে এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে কলকাতায় প্রচুর বিদশি নাগরিক এসেছেন গত দুই সপ্তাহে। সেই ১৪ হাজার বিদেশি নাগরিক এখন কোথায় এবং কিভাবে আছে, তা নিয়ে উঠছে নানা সংশয়।
চীন, ইউরোপ বা উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে ১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে আগত এই নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই আবার দেশে ফিরে গেছেন। কিন্তু যারা কলকাতায় রয়ে গেছেন, তাঁদের শরীরে যদি এই রোগের জীবাণু বর্তমান থাকে, তাহলে পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে সেই নিয়ে এখন আসঙ্কায় রয়েছে নবান্ন। ইরান থেকে সেভাবে কোনও নাগরিক আসেননি। তবে সব চেয়ে বেশি প্রায় ৮২৫৯ জন মানুষ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। আবার আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা থেকেও বেশ কয়েকশো বিদেশি কলকাতায় নেমেছেন। তাঁর মধ্যে অনেকেই নিজেদের ১৪ দিনের আইসোলেশনে রেখেছেন। কিন্তু যারা এখনও মুক্ত ভাবে রাস্তায় ঘুরে বেরাচ্ছে, তাঁদের কিভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে?
নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশি নাগরিকদের ভারতে আসার তথ্য রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন বিদেশি নিবন্ধীকরণ বিভাগের। তারাই মূলত এই বিষয়ে দেখভাল করেন। এখন বিদেশি নিবন্ধীকরণ বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোনও ব্যাক্তির বিদেশির ভিসা ফর্মে শহরে থাকার যে-ঠিকানা দেওয়া থাকে, সেই ঠিকানার তালিকা তৈরি করে সরকারকে দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশিরা কলকাতায় এসে কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, খুঁজে পেতে হলে এখন পুলিশকেই মাঠে নামতে হবে।
তবে ১৪ ই মার্চের পর থেকে বিদশি নাগরিকদের ভারতে আসার পরিমাণ অনেকটা হলেও কমে গেছে। তা সত্ত্বেও যেসকল বিদশি নাগরিকরা কলকাতায় রয়েছেন তাঁদেরকে একবার হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছে সরকার। নতুবা বাইরে ঘোরাঘুরি না করে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।