বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘বাংলা ছবি এখন আর কেউ দেখে না’, এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে এবারের পুজো। হিন্দি, দক্ষিণী, ইংরেজি সব ভাষার ছবিকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে টলিউড। মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি ছবিই হিট। তবে তার মধ্যে যে ছবিটি বাকিদের সকলকে টেক্কা দিয়েছে, তা হল ‘বহুরূপী’ (Bohurupi)। আক্ষরিক অর্থেই বক্স অফিসে পাশা পালটে দিয়েছেন শিবপ্রসাদ নন্দিতা জুটি। সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে সকলের মুখেই শুধু একটাই নাম ‘বহুরূপী’ (Bohurupi)।
পুজোর ব্লকবাস্টার হিট ‘বহুরূপী’ (Bohurupi)
উইন্ডোজ প্রোডাকশন, শিবপ্রসাদ নন্দিতা যে একটা ‘ব্র্যান্ড’ তা সকলেই স্বীকার করবেন। তবে কিনা ইদানিং পারিবারিক গল্প থেকে একটু বেরিয়ে অ্যাকশন থ্রিলারের দিকেও ঝুঁকছেন তাঁরা। গত বছর পুজোতেই মিলেছে তার ঝলক। তবে এবারের পুজোয় দর্শকদের কার্যত চমকে দিয়েছেন শিবপ্রসাদ নন্দিতা জুটি। বহুরূপী ব্লকবাস্টার। একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে ছবিটি, তেমনি সমালোচক দর্শকদের থেকেও আসছে দুর্দান্ত রিভিউ।
আরো পড়ুন : হরিণ মেরে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা! বিষ্ণোইদের কত টাকা অফার করেছিলেন সলমন!
ছবির অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন শিবপ্রসাদ
এখন যে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে, ‘বহুরূপী’র (Bohurupi) অনুপ্রেরণা পেলেন কীভাবে শিবপ্রসাদ? এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এটি কিন্তু বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি। বহুরূপীর (Bohurupi) প্রেক্ষাপটের বিষয়ে বলতে গিয়ে এক অদ্ভূত গল্প শোনান পরিচালক অভিনেতা শিবপ্রসাদ। তবে গল্প না বলে একে ঘটনা বলাই ভালো। কারণ এই ঘটনা থেকেই বহুরূপী বানানোর যাবতীয় মালমশলা পেয়েছিলেন তাঁরা।
আরো পড়ুন : অরিজিতের ‘হেঁশেলে’ খাবার খেয়ে কেঁদেই ফেললেন কিরণ, গায়কের বাবার সামনেই… এ কী কাণ্ড!
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি বহুরূপী
এই ঘটনা অবশ্য আজকের নয়, সেই ১২ বছর আগেকার। তখন ‘মুক্তধারা’ ছবির কাজ করছিলেন নন্দিতা শিবপ্রসাদ। সে সময়ই একজন ফোন করে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান। নিজেকে ‘পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক ডাকাত’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর জীবন কাহিনি নিয়ে ছবি বানানোর দাবি তুলে নাকি বারংবার ফোন করতেন তিনি। শিবপ্রসাদ জানান, তাঁরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টায় ছিলেন ছবিটি বানানোর। বাজেট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে পর্দায় এল ‘বহুরূপী’ (Bohurupi)।
‘বহুরূপী’র আসল গল্প যেন সত্যিই দস্যু রত্নাকরের কাহিনি। এক সাক্ষাৎকারে শিবপ্রসাদ জানান, যে মানুষটি নিজেকে রাজ্যের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক ডাকাত হিসেবে দাবি করেছিলেন, তিনি এখন একজন বড় আইনজীবীর মুহুরি হিসেবে কাজ করেন। যে পুলিশ ইন্সপেক্টরের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষ হয়েছিল (ছবিতে অভিনয়ে আবির চট্টোপাধ্যায়), তিনিও এখন রয়েছেন উঁচু পদে। তবে তাঁদের মধ্যেকার ‘রসায়ন’ নাকি রয়ে গিয়েছে একই রকম।