বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসানসোল থেকে দু’বার বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে দু’বারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তবে একবারও তিনি পূর্ণ মন্ত্রিত্বর স্বাদ পাননি। আর এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ এবং রদবলের সময় বাংলার দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে ছেঁটে ফেলেন। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একুশের নির্বাচনে দেবশ্রী চৌধুরীর তেমন গতিবিধি না থাকায় ওনাকে ছেঁটে ফেলা হয়। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে সক্রিয়তা কম থাকার কারণেই বাবুল সুপ্রিয়কে সরানো হয় দায়িত্ব থেকে।
তবে এই খবরও পাওয়া গিয়েছিল যে, বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। যেহেতু এখনও বঙ্গ বিজেপিতে কোনও রদবদল হয়নি, সেই কারণে তাঁদের এখনও কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। আরেকদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল।
আর সেই জল্পনার আগুন তখন আরও বেশী উস্কে যায়, যখন বাবুল সুপ্রিয় নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির প্রাক্তন নেতা মুকুল রায় আর তৃণমূলকে ফলো করা শুরু করেন। বাবুল সুপ্রিয়র এই কাজে রাজ্য রাজনীতি মহলে তুমুল গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাওয়ার কারণে বাবুল সুপ্রিয়র প্রতি সমবেদনা জাহির করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুলকে কাছে টেনে নিতে চেয়েছিলেন।
তবে, বাবুল সুপ্রিয় নিজে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক জল্পনা ছড়িয়েছে। কেউ আমাকে নিয়ে অভদ্র ভাষা ব্যবহার করছেন, আবার কেউ আমাকে নিয়ে ট্রোল করছেন। আমি অনুরোধ করব, জল্পনা আর গুঞ্জন দিয়ে আমাকে বিচার করবেন না। আমি যা করেছি আমাকে সেটা দিয়েই বিচার করবেন।”
গত ১১ জুলাই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলে বিজেপি সাংসদ নিজের ফেসবুক পেজে এই পোস্টটি করেছিলেন। আর ওনার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে গত ৯ জুলাই একটি রিটুইট করা হয়েছিল, যেটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, বাবুল সুপ্রিয় কোথায় হারিয়ে গেলেন? সর্বদা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকা বাবুলের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আবারও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। উনি কী এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারানোর দুঃখ প্রকাশ করছেন? আগামী দিনে উনি কী আদৌ রাজনীতিতে থাকবেন? উনি আবার জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে যোগ দেবেন না তো? রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।