বাংলাহান্ট ডেস্ক: সালটা ১৯৮৯। টলিউড হোক বা ঢালিউড, দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই তখন মশলা ছবির রমরমা। ভিন্ন ধারার ছবি নয়, নাচ গান ধুন্ধুমার অ্যাকশনে ভরা মূলধারার ছবিই তখন দর্শক টানত প্রেক্ষাগৃহে। টলিউডে তখন রাজত্ব করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালরা। ঠিক সে সময়েই মুক্তি পায় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ (Beder Meye Josna)।
বাংলাদেশি ছবিটি সে সময়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল টলিউডেও। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টলিউডের চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং তাঁর বিপরীতে ছিলেন বাংলাদেশি নায়িকা অঞ্জু ঘোষ। জোসনা চরিত্রে অভিনয় করে এপার বাংলাতেও লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে আরো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জু ঘোষ।
কিন্তু বর্তমানে অভিনয় জগৎ থেকে এক রকম হারিয়েই গিয়েছেন তিনি। বেদের মেয়ে জোসনা ছবিটি এখনো রয়ে গিয়েছে দর্শক মনে। এমনকি ছবির গানও এখনো গুনগুন করতে শোনা যায় অনেককে। শুধু হারিয়ে গিয়েছেন নায়িকা অঞ্জু। এমন কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন তিনি?
বাংলাদেশের ছবিতে কামব্যাক করলেও আগের সেই জনপ্রিয়তার ছিটেফোঁটাও ফিরে পাননি অঞ্জু। এ নিয়ে ও দেশের এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তাঁর খুব কষ্ট। এখন তাঁর সামনে দুটো রাস্তা খোলা রয়েছে। হয় তাঁকে মরে যেতে হবে নয়তো অভিনয়ে ফিরতে হবে। আগের মতো তো আর ধেইধেই করে নাচতে পারবেন না। তাঁর বয়সের সঙ্গে মানানসই চরিত্রই করতে হবে তাঁকে।
অঞ্জুর আক্ষেপ শেষ হয়নি এখানেই। পুরনো স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, আগে কত স্টেজ শো-ই না করেছেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন বাংলাদেশে হয়তো সবাই আছে। কিন্তু এখন সবটাই শেষ। নায়কও নেই আর। তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর কামব্যাক দুর্দান্ত হবে। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। আগের দিনগুলো ফেরত না পেলেও ইন্ডাস্ট্রির অংশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি।