বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডে জিতের (Jeet) কেরিয়ার সফল করে তোলার পেছনে যে ছবিগুলির অবদান ছিল, তার মধ্যে ‘সাথী’র নাম না করলেই নয়। এই ছবির মাধ্যমেই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছিল এক নতুন নায়ককে, যিনি পরবর্তী প্রজন্ম জুড়ে রাজত্ব করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে সাথী শুধু জিতের কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকেনি। এর জন্য নায়িকা প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্রর (Priyanka Upendra) ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবাগত জিতের বিপরীতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি অবশ্য নবাগতা ছিলেন না। বরং বাংলার পাশাপাশি হিন্দি এবং দক্ষিণী ছবিতেও কাজ করছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি ডেবিউ করেছিলেন টলিউডেই। পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’তে প্রথম পর্দায় মুখ দেখান প্রিয়াঙ্কা। তারপরে পরপর আরো কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
কিন্তু সাথী ছবিতে একেবারেই নতুন এই জুটি যে এমন কামাল করে দেবে তা ভাবতে পারেনি কেউই। আজ দু দশক পরেও এই ছবির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। বিশেষ করে ছবিটির গান ব্যাপক হিট হয়েছিল। সিনেপ্রেমীরা এখনো ভুলতে পারেনি জিৎ প্রিয়াঙ্কা জুটিকে।
এরপরেও অবশ্য সঙ্গী, অগ্নিপরীক্ষা, আমার প্রতিজ্ঞার মতো ছবিতে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। কিন্তু দর্শক আজও তাঁকে সাথীর জন্যই মনে রেখেছে। পরবর্তীকালে ‘হ্যালো মেমসাহেব’ ছবিতেও কামব্যাক করেছিল জিৎ প্রিয়াঙ্কা জুটি। ২০০৮ সালে শুটিং শেষ হওয়া ছবিটি মুক্তি পায় ২০১১ তে। কিন্তু সাথীর নস্টালজিয়া ফেরাতে পারেনি এই জুটি।
ওটাই শেষ। টলিউডকে বিদায় জানিয়ে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেই পাকাপাকিভাবে পসার জমিয়ে বসেন প্রিয়াঙ্কা। এখনো বেশ জনপ্রিয় তিনি ওই ইন্ডাস্ট্রিতে। বিয়ে করেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির তারকা উপেন্দ্র রাওকে। টলিউডে আর ফেরেননি প্রিয়াঙ্কা। তবে দু বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। তখনই পুনর্মিলন হয়েছিল দুই ‘সাথী’র। সেই ছবি শেয়ার করে পুরনো স্মৃতি উসকে দিয়েছিলেন জিৎ প্রিয়াঙ্কা।