বাংলা হান্ট ডেস্ক : মিটে গেছে নির্বাচন (Panchayat Election)। কিন্তু শান্ত হয়নি রাজ্য। শনিবারের পর রবিবারও পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)জুড়ে ঘটছে একের পর এক হিংসার ঘটনা। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ছবি সামনে আসছে সংবাদমাধ্যমের দৌলতে। মুহুর্মুহু ঘটে চলেছে বোমাবাজির ঘটনা।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র ভোটের দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। বিরোধীরা যখন এই নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হচ্ছে, তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (chandrima bhattacharya speaks about panchayet election) হিংসার ঘটনার জন্য সরাসরি বিরোধীদের দায় করছেন। শুধু তাই নয়, চন্দ্রিমার (chandrima bhattacharya) নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও!
গতকাল শনিবার ছিল বাংলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন জেলা। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে, গুলি চলেছে। বাংলার প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী, নেতাদের মৃত্যু হয়েছে। এই হিংসার ঘটনার জন্য বিরোধীদের ও রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন চন্দ্রিমা।
তিনি বলেন, ‘মাত্র কয়েকটি ঘটনাই তো ঘটেছে। বিরোধীরা ও শ্রদ্ধেয় রাজ্যপাল এত প্ররোচনা দিয়েছেন যে তাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। রবিবার বাসন্তীর এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। ভোটের দিনের হিংসায় আহত হয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, ‘সব মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কর্মী ও প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি।’
কেবল মাত্র মারামারি, খুনোখুনি, বোমাবাজির ঘটনা নয়, শনিবারের নির্বাচনে ভোটলুঠ, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোটলুঠ, ছাপ্পা ভোটের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু যে শতাংশ ভোট পড়েছে, তাতে সে কথা বলে না।’ উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.০৯ শতাংশ।
হাইকোর্টের নির্দেশে, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছিল কমিশন। কিন্তু সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন ছিল, কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? কেউ কেউ আবার মজা করে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী খুঁজতে চোখে দূরবীন লাগাতে হয়েছে।’ এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন ও বিএসএফের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সংবাদও প্রকাশ্যে এসেছে।