বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত তথা বাংলার গর্ব শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। বর্তমানে ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় তিনি থাকবেন একেবারে শুরুর দিকেই। বিশেষত বাঙালি হওয়ায় বাংলার বড় প্রিয় মেয়ে তিনি। অথচ জানলে অবাক হবেন, জন্মসূত্রে বাঙালি হলেও আদৌ সেভাবে পশ্চিমবঙ্গে থাকেনইনি শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)। যদিও নিজের শিকড় ভুলে যাননি তিনি। আজো তাঁর কণ্ঠে বাংলা গান বা বাংলা কথা বড়ই মিষ্টি শোনায়।
পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে থাকেননি শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)
১৯৮৪ সালে ১২ মার্চ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্ম শ্রেয়ার। কিন্তু বাংলায় জন্মালেও তাঁর বড় হওয়া রাজস্থানের কোটার কাছে রাওয়াতভাতা শহরে। আসলে শ্রেয়ার (Shreya Ghoshal) বাবা কাজ করতেন পারমাণবিক শক্তি নিগমে। নিজের পরিবার নিয়ে রাজস্থানেই থাকতেন তিনি। শ্রেয়া পড়েওছেন রাওয়াতভাতার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। সেখানে ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ার পরেই স্কুল ছাড়তে হয় তাঁকে।
কোন স্কুলে পড়াশোনা: বদলি হয়ে মুম্বই চলে আসেন গায়িকার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে আসেন শ্রেয়া (Shreya Ghoshal), তাঁর মা এবং ভাই। সেখানে গিয়ে অণুশক্তি নগরে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হন গায়িকা। স্কুল পাশ করার পর বিজ্ঞান নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন পরমাণু শক্তি জুনিয়র কলেজে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বিজ্ঞানের পথে এগোননি শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)। বরং কলেজ বদলে মুম্বইয়ের এসআইইএস কলেজ অফ আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্সে ভর্তি হন তিনি। ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করেন শ্রেয়া।
আরো পড়ুন : অর্জুন অধ্যায় শেষ, এবার এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেন মালাইকা!
ছোট থেকেই গানের তালিম: পড়াশোনার পাশাপাশি শ্রেয়ার (Shreya Ghoshal) জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থেকেছে গান। মাত্র চার বছর বয়স থেকে সঙ্গীতশিক্ষা শুরু হয় তাঁর। মা-ই ছিলেন শ্রেয়ার প্রথম সঙ্গীত গুরু। ছয় বছর বয়স হলে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। ২০০০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সারেগামাপায় যোগ দেন শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)। ওই শো-ই তাঁর গানের কেরিয়ার শুরু করতে সাহায্য করেছিল। সারেগামাপায় বিজয়ী হয়েছিলেন গায়িকা।
আরো পড়ুন : আট বছরে ভাঙে প্রথম বিয়ে, ২৫ বছরের ছোট স্ত্রীর সঙ্গেও এবার বিবাহ বিচ্ছেদ টেলিপাড়ার নায়কের!
শোনা যায়, ওই শোতে তাঁর গান শুনেই সঞ্জয় লীলা বনশালি ‘দেবদাস’ ছবিতে প্লেব্যাক করান শ্রেয়াকে দিয়ে। বৈরি পিয়া, সিলসিলা ইয়ে চাহত কা, ডোলা রে ডোলার মতো গান গেয়েই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন শ্রেয়া। তারপর থেকে আর কখনোই থেমে থাকতে হয়নি শ্রেয়াকে। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে যেকোনো ছবিতেই গান গাওয়ার জন্য শ্রেয়ারই খোঁজ পড়ে সবার আগে। নিজের কণ্ঠের জাদুতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মুগ্ধ করে চলেছেন তিনি।