দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন, কী কী থাকে পুরস্কারে? কতজন বাঙালিই বা পেয়েছেন এই সম্মান?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দাদাসাহেব ফালকে সম্মান (Dadasaheb Phalke Award) পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার, সপ্তাহের শুরুতেই এই খবরে খুশি হয়েছিলেন আপামর বাঙালি। কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর ১৩ বছর পেরিয়ে ফের একজন বাঙালির হাতে উঠতে চলেছে এই সম্মানীয় পুরস্কার। কিন্তু কী এই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award)? কেন এই পুরস্কারের এত মাহাত্ম্য? এতদিন পর্যন্ত কতজন পেয়েছেন এই সম্মান? কতজন বাঙালিই বা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে, জানেন কি?

কী মাহাত্ম্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের (Dadasaheb Phalke Award)

বিশ্ব চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান যেমন অস্কার, তেমনি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সেরা সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award)। ১৯৬৯ সালে ভারত সরকার এই পুরস্কারের প্রচলন করে। এই পুরস্কার যাঁর নামে নামাঙ্কিত, সেই দাদাসাহেব ফালকেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলে মানা হয়। ১৯১৩ সালে তিনিই প্রথম এ দেশে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র তৈরি করেন। সে বছরই ১৭ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম এই সম্মান পান দেবিকা রানী।

আরো পড়ুন : ‘আমাকে বিয়ে করবেন?’ সলমনকে প্রস্তাব বিদেশিনীর, পিলে চমকানো উত্তর নায়কের!

কী কী থাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে (Dadasaheb Phalke Award)

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে (Dadasaheb Phalke Award) কী কী দেওয়া হয় প্রাপককে, এ নিয়ে কৌতূহল সকলেরই থাকে। জানিয়ে রাখি, এই পুরস্কারে প্রাপককে একটি স্বর্ণকমল পদক, ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি শাল দেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত ৫২ জনকে দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন বাঙালিও। কারা তাঁরা?

আরো পড়ুন : চোখের সামনে এমন অবস্থায় অমিতাভ রেখা! নিজেকে সামলাতে না পেরে কী করেছিলেন জয়া?

এর আগে কতজন বাঙালি পেয়েছেন

১৯৭০ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের (Dadasaheb Phalke Award) দ্বিতীয় প্রাপক ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ সরকার। বাঙালিদের মধ্যে তিনিই ছিলেন প্রথম। ১৯৩০ সালে টালিগঞ্জে নিউ থিয়েটার্স ক্যালকাটা প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁর হাত ধরে। ১৯৭২ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) ওঠে পঙ্কজ মল্লিকের হাতে। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র পঙ্কজ মল্লিক, যিনি কাজ করেছিলেন স্বর্ণযুগের খ্যাতনামা সমস্ত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। শুধুই সুরকার নয়, তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, অভিনেতা, লেখক এবং শিক্ষকও। মহালয়ার ভোরে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনাও করেছিলেন তিনিই।

Dadasaheb Phalke Award

১৯৭৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) পান অভিনেতা, পরিচালক তথা উদ্যোক্তা ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরের তিন বছর পরপর এই পুরস্কার ওঠে তিন বাঙালির হাতে। ১৯৭৬ এ অভিনেত্রী তথা গায়িকা কানন দেবী, ১৯৭৭ এ পরিচালক, সিনেম্যাটোগ্রাফার তথা স্ক্রিন রাইটার নীতিন বসু এবং ১৯৭৮ এ রাইচাঁদ বড়াল, যিনি পরিচিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র সঙ্গীতের জনক হিসেবে, পান এই পুরস্কার। তারপর আসে ১৯৮৪ সাল। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) ওঠে কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের হাতে। ১৯৮৮ সালে এই পুরস্কার পান খ্যাতনামা অভিনেতা অশোক কুমার। ভারতীয় ছবির অন্যতম মহান পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় এই পুরস্কার পান ১৯৯৯ সালে। ২০০৩ সাল এবং তারপর ২০০৬ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) পান দুই কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেন এবং তপন সিনহা। তারপরের বছরই ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পান খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে। ২০১১ তে দাদাসাহেব ফালকে ওঠে আরেক কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। আর অবশেষে দশক পেরিয়ে ফের এই পুরস্কার পেতে চলেছেন বাংলার গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী।


Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর