বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করার পর থেকেই কাবুলে ফের একবার ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার তৈরি এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন ভারত-আমেরিকা বার্তা দিয়েছে জোর জুলুম করে তৈরি করা সরকারকে তারা স্বীকৃতি দেবে না, অন্যদিকে তেমনি এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নিজেদের রায় জানায়নি গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়া। এখন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের বলিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলির এ বিষয়ে কি রায়?
পাকিস্তানঃ
প্রথমেই আসা যাক, পাকিস্তানের কথায়। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক যে চিরকালই মধুর, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। উপরে উপরে তালিবান একথা স্বীকার না করলেও মূলত তালিবানের মত নিয়েই পাকিস্তান এতদিন ডিল করে এসেছে আমেরিকার সাথে। শুধু তাই নয়, এও সন্দেহ করা হচ্ছে যে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখল করেছে তার পিছনেও প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের। আফগানিস্তানের নাগরিক সরকারের ভারতের সম্বন্ধকে কোনদিনই ভালো চোখে দেখেনি পাকিস্তান। তাই তালিবান রাজ তৈরি হলে ভারতের বিরুদ্ধে তালিবানদের ব্যবহার করা সহজ হবে পাকিস্তানের পক্ষে।
তুর্কিঃ
তুর্কি অবশ্য এখনো এ বিষয়ে তেমন কিছু জানান দেয়নি। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান একজন সুন্নী মুসলমান এবং তালিবানরাও এই মতেই বিশ্বাসী। যদিও তালিবানের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য চলছে তুরস্কের। তবে এরদোগান এক্ষেত্রে বন্ধু ইমরান খান সরকারের মদত নিয়ে তালিবানদের সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী বলে জানা যাচ্ছে।
ইরানঃ
আফগানিস্তানের তালিবান রাজ কায়েম হলে ইরানের সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ সীমান্তবর্তী এলাকায় গন্ডগোল দেখা দিলেই আফগানিদের ইরানে অনুপ্রবেশ ঘটে। শুধু তাই নয় ইরান মূলত সিয়া সমর্থক, তাই কট্টর সুন্নি সমর্থক তালিবানিদের সাথে তাদের বিরোধ রয়েছে শুরু থেকেই। যদিও বর্তমানে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করার চেষ্টায় রত তালিবান।
সৌদি আরবঃ
সৌদি আরব এক্ষেত্রে সবথেকে শক্তিশালী ইসলাম দেশগুলির একটি। আফগান মুজাহিদীনদের প্রকাশ্যে সমর্থন তথ্য দেখা গিয়েছে তাদের। তবে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে আপাতত দূরত্ব বজায় রেখেছে সৌদি আরব। তারাও মূলত বন্ধু পাকিস্তানের সাহায্যে তালিবানদের সঙ্গে ডিল করে আসছে।
কাতারঃ
কাতারে তালিবানদের সদর দপ্তর রয়েছে। কার্যত তাদের বদান্যতাতেই সারা বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তালিবানের। শুধু তাই নয় কাতার মধ্যস্থতা করেছে বলেই আফগান সরকার এবং আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেয়েছে তারা। তাই কাতার যে তালিবানদের বড় সহযোগী এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।