বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। দুর্নীতির তালিকার একের পর এক শাসক যোগ। তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের (TMC)। রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কের মেয়ে, বাতিলের তালিকায় উঠে এসেছে শাসকদলের পরিজনদের নাম। হাইকোর্টের নির্দেশে কাদের কাদের নাম এল বাতিলের তালিকায়?
গ্রুপ-সির চাকরি বাতিলের তালিকায় একের পর এক তৃণমূল যোগ। নাম রয়েছে ডায়মন্ড-হারবারের তৃণমূল নেতা, বারাসতের প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে হুগলির জেলা পরিষদের সদস্যের অনিয়ম করে পাওয়া চাকরি। সম্প্রীতি তালিকায় উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির নামও। তালিকার ৬০৮ নম্বরে নাম রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম।
একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের নাম উঠে আসায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। তবে এই বিষয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের বাবা বলেন, “মেয়ে মানসিক রোগী। ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। হয়তো কোনওভাবে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু, একদিন মাত্র স্কুলে গিয়েছিল, তার পরই পদত্যাগ করে। তবে ও পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছিল। পড়াশোনায় ছোট থেকেই ভাল।”
বাতিলের তালিকায় নাম উঠে এসেছে ডায়মন্ড-হারবারের তৃণমূলের টাউন সভাপতি ও পুরসভার ১৩ নম্বর কাউন্সিলর অমিত সাহার। চাকরি করছিলেন উস্তির হটুগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে। দুর্নীতি করে পাওয়া চাকরির তালিকায় রয়েছে মন্ত্রী যোগও। চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।
চাকরি গিয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা মেটের। তিনি অবশ্য বলেন, “আমি আইনের দ্বারস্থ। আমি কোনওরকম টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত নই।” শুধু টুম্পাই শাসকদলের সদস্য এমন নয়, টুম্পার স্বামীও পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যদিকে, তালিকায় নাম রয়েছে বারাসতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দোলন বিশ্বাসের। চাকরি গিয়েছে, মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়কের মেয়েরও। দিন দিন তদন্তে আরও কত নাম সামনে আসে সেটাই দেখার বিষয়।