বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে বেশ কয়েক দিন হল। বেরিয়ে গিয়েছে ভোটের ফলাফলও। পরিস্থিতি প্রায় শান্ত, সব চুপচাপ। তবে এরই মধ্যে উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) আজব কাণ্ড! নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মাছ তো নয় বরং তার বদলে জালে উঠে এল সিল করা ব্যালট বক্স (Ballot Box)। হ্যাঁ মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এল পঞ্চায়েত ভোটের ব্যালট বাক্স। যা নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল।
শুক্রবার বিকেলে এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার আন্ধারিয়া গ্রামে। উদ্ধার হওয়া ব্যালট বাক্সে রয়েছে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার। সূত্রের খবর জালে ব্যালট বাক্সটি করনদীঘি বিধানসভার ডালখোলা থানার ২৫ নং বুথের। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ডালখোলা থানার আন্ধারিয়া গ্রামের বেলুয়ার অদুরে খুদি পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন স্থানীয় এক মৎস্যজীবী। জাল টান দিতেই অনুভব করেন হয়তো বড় মাপের মাছ ধরা পড়েছে জালে। তবে যা ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে মৎস্যজীবীর কোনও ধারণাই ছিল না। তড়িঘড়ি আনন্দে জল থেকে জাল তুলতেই দেখতে পান, মাছের বদলে রয়েছে একটি সিল করা বাক্স।
পঞ্চায়েত ভোটে এই ব্যালট নিয়ে যত কাণ্ড তাতে বাক্স দেখেই জেলের বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে বাক্সটি ভোটের ব্যালট বাক্স। বাক্সের গায়ে লেখা ছিল KDI 25 no Booth, যার মানে হল করনদীঘির ২৫ নম্বর বুথ। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডালখোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে নিজেদের হেপাজতে নেয়।
খবর পৌঁছয় করনদিঘি ব্লকের বিডিও নিতিশ তামাং এর কাছেও। সূত্রের খবর, পুলিশ ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলাপ্রশাসনের কর্তারা। ঘটনা জানাজানি হতেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপির প্রার্থী অমিত শা বলেন, ‘সরকার চাকরি চুরি, কয়লা চুরি থেকে সাধারণ মানুষের জনমতকেও চুরি করে ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে চাইছে। আমরা বিজেপির কর্মীরা চোর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব’।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা তো আগেই নির্দিষ্ট প্রমাণ সহ অভিযোগ করেছিলাম করনদিঘি সহ প্রতিটি ব্লকে গণনায় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। এবার আবার প্রমাণ মিলল। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, এবারে ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে শাসক দল ও প্রশাসন। আবার প্রমাণিত হল।