বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে ডালটনগঞ্জ জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন এক ব্যক্তি। ডাক্তার তাকে যৌনাঙ্গে ছোট একটি অপারেশনের পরামর্শ দেন। রোগী অপারেশনের জন্য রাজিও হন। অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রয়োজনীয় প্রি-অপারেটিভ পরীক্ষার পরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার। অস্ত্রোপচারের পর তাকে ওয়ার্ডে বেড দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু এরপর যা ঘটল তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় হাসপাতালে।
আসলে, অপারেশন করা রোগী রাতে প্রস্রাব করতে গিয়েছিল। এসময় তিনি দেখেন, তার যৌনাঙ্গ উধাও। রোগী দাবি করতে শুরু করে যে তার যৌনাঙ্গ অপারেশনের সময় কেটে নেওয়া হয়েছে!
তারপরেই তোলপাড় শুরু হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে তোলপাড় শুরু করে রোগীর স্বজনরা। লোকজনের হট্টগোল দেখে হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি সমগ্র জেলায় আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
এই বিষয়ে সিভিল সার্জন ইনচার্জ বিজয় সিংয়ের সাথে কথা বলা হলে তিনি এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করেন। তিনি জানান, রোগীর প্রস্রাব করতে সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য সুন্নত ধরনের অপারেশন করা হয়। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় খৎনা সার্জারি বলা হয়। এতে যৌনাঙ্গের বিভিন্ন অংশ অপসারণ করা হয়। যার কারণে যৌনাঙ্গে কয়েকদিন ফোলাভাব থাকে। অপারেশনের পর রোগী প্রস্রাব করতে গেলে যৌনাঙ্গে ফোলা ভাব দেখে ভয় পেয়ে যান। তিনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন যে যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে, অথচ তা নয়। পুরো বিষয়টি বুঝতে না পেরে হাসপাতালে তোলপাড় শুরু করেন রোগীর স্বজনরা।
রোগী অরবিন্দ কুমার যাদব খারশাহ গ্রামের বাসিন্দা। প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে তিনি চিকিৎসার জন্য শহরের গোদাবরী হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। যেখানে ডাঃ অজয় কুমার তার খৎনা সার্জারি করেন। যার কারণে রোগীর যৌনাঙ্গ ফুলে যায়। ফুলে যাওয়া যৌনাঙ্গ দেখে তিনি এতটাই ভয় পেয়ে যান যে তিনি ভেবেছিলেন অপারেশনের সময় তার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।