বাংলাহান্ট ডেস্ক : তারকাদের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী তাঁদের বডিগার্ডরা (Bodyguard)। ভক্তদের অতি ভালোবাসা থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক তারকারই দেহরক্ষীর (Bodyguard) প্রয়োজন হয়। উপরন্তু শুধু ভক্তদের থেকে নিরাপত্তাই নয়, আরো অনেক বিপদই থাকতে পারে তারকাদের। সম্প্রতি সলমন খানের উপরে প্রাণঘাতী হামলার হুমকিই তার বড় প্রমাণ। তবে সলমনের কাছে যে দীর্ঘ ২৯ বছরের সঙ্গী শেরা রয়েছে তা তো সকলেই জানেন। তেমনি অন্যান্য বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রী এবং টলিউড অভিনেতাদের কাছেও রয়েছে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী (Bodyguard)।
প্রসেনজিতের দেহরক্ষী (Bodyguard) কে
টলিউড ইন্ডাস্ট্রি বললেই সবার আগে মাথায় আসে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর দেহরক্ষীর (Bodyguard) নাম রাম সিং। বিগত ১৬ বছর ধরে প্রসেনজিতের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। অভিনেতাকে ‘স্যারজি’ বলে ডাকেন তিনি। মাত্র দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই বাউন্সারের কাজ করতেন রাম সিং। তাঁর মা নাকি প্রসেনজিতের খুব ভক্ত।
আরো পড়ুন : ‘ডানা’র ঝাপটার আগেই ঘূর্ণিঝড়ে ওলটপালট TRP তালিকা, সেরার সেরা হল কে?
দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন বুম্বাদার সঙ্গে
সংবাদ মাধ্যমকে রাম সিং জানান, একটা সময় ১৫০ টাকা করে পেতেন তিনি। মাকে ১০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা রাখতেন নিজের কাছে। রাজারহাটে একটি শুটিংয়ে গিয়েই প্রথম বার প্রসেনজিৎকে দেখেন তিনি। তাঁর থেকে পেন নিয়ে অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন অভিনেতা। সেই পেনটিও সযত্নে রেখে দিয়েছেন রাম সিং। প্রসেনজিতের স্থায়ী বাউন্সার লাগবে শুনে গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে রয়ে গিয়েছেন সঙ্গে। তাঁর স্যারজির মতো কেউ হবে না, দাবি রাম সিং এর। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর খোঁজ নেন প্রসেনজিৎ। তিনিও নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও রক্ষা করবেন অভিনেতাকে, জানান রাম সিং।
আরো পড়ুন : শুরু হতে না হতেই শেষ, আর্য আরাত্রিকার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি! কে তিনি?
কৌশানীরও রয়েছেন দেহরক্ষী
কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর (Bodyguard) নাম দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। প্রথমে দেহরক্ষী হিসেবে কাজে যোগ দিলেও বিগত পাঁচ সাত বছর ধরে কৌশানীর সমস্ত ইভেন্ট, ব্র্যান্ড সামলান তিনিই। তাঁর কাছে অভিনেত্রী নিজের দিদির থেকেও বড়। তাঁকে ছাড়া কোথাও যান না কৌশানী। একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছেন তিনি। দেবাশিস জানান, যতদিন এই পেশায় থাকবেন, কৌশানীর কাছেই কাজ করবেন।
অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের ছায়াসঙ্গী সুরজিৎ কয়াল। বিগত ৮ বছর ধরে অভিনেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দিদি বলেই ডাকেন তিনি কোয়েলকে। তাঁর কথায়, মল্লিক পরিবারের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ হয়ে গিয়েছে তাঁর। রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গেও থাকেন তিনি। নিজের জান দিয়েও কোয়েলকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন সুরজিৎ।