বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতির জোয়ারে ভাসছে রাজ্য। একের পর এক নয়া পাতা জুড়ছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কাহিনীতে। গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে আরও এক প্রভাবশালীর। বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারীর (Bivash Adhikari)। জানা গিয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ তিনি। চাকরি চুরিতে কিভাবে নাম জড়াল তার?
অনুব্রত গড় বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। রাজনীতিতে সক্রিয় যোগ রয়েছে তার। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তিনি। সূত্রের খবর, বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে সরে এসেছেন তিনি। পাশাপাশি “আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না” বলে দাবি করেন তৃণমূলের বিভাস।
এই বিভাসের সঙ্গেই মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের আরেক চরিত্র গোপাল দলপতি। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুরুভাই’ এই গোপালই। নোযোগ ‘দুর্নীতি’র প্রথমদিকে ইনিই পার্থর ‘গুরু’ ছিলেন বলেও খবর ছড়িয়েছে।
এলাকায় অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত প্রভাবশালী এই ব্যক্তি। এক আশ্রম রয়েছে তার। শুধুই কী সমাজসেবা? না একদমই না। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন বিভাস। তার কলেজ থেকে পাশ করলেই নাকি চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল পড়ুয়াদের। সেই কারণেই বহু পড়ুয়া প্রচুর টাকা দিয়ে সেখানে ভর্তি হতেন।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিট টেটের প্রথমদিকে ২ হাজার ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে এই বিভাসের অনেক বড় হাত ছিল। যদিও বিভাস অধিকারী বলেন, “আমি চাই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। কোনও অবৈধ কিছু নেই। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না। আগামিদিনে ইডি বা সিবিআই ডাকলে অলওয়েজ ওয়েলকাম। প্রথম থেকে বলে আসছি। ইডি তদন্ত করেছে। আমার যাবতীয় কাগজপত্র যা চেয়েছিল, সবই জমা দিয়েছি। ওরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি।”
শোনা গিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাসের। তবে বিভাসের কথায় পার্থবাবুর সাথে যোগ থাকলেও দুর্নীতিতে তার কোনও যোগ নেই। দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে জেলে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সামনে আসা এই বিভাসকে নিয়ে কতটা জলঘোলা হয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।