বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুম্বই তথা বলিউডে এখন আতঙ্কের একটাই নাম, লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)। বিগত কয়েক বছরে একাধিক বার চর্চায় উঠে এসেছে এই নামটি। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যা থেকে শুরু করে সম্প্রতি রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। সলমন খান এবং তাঁর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়ার পর সলমন ঘনিষ্ঠ সিদ্দিকীকে হত্যা করে রাতারাতি আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছেন লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)। কিন্তু কারা এই বিষ্ণোই গ্যাং?
বাবা সিদ্দিকীর খুনের দায় স্বীকার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর
সম্প্রতি এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর গ্যাং। মুম্বই পুলিশের তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে, যেখানে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হত্যার দায় স্বীকার করে। সেই সঙ্গে এমনো হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারাই সলমনকে সাহায্য করবেন, তাদেরও একই হাল হবে। কিন্তু এই লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর পরিচয় কী?
আরো পড়ুন : অনেক হল রাজনীতি, ভোটে হারতেই অভিনয়ে ফিরছেন স্মৃতি ইরানি! কোন সিরিয়ালে দেখা যাবে?
লরেন্স বিষ্ণোই কে
জানা যাচ্ছে, পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার ধত্তরনওয়ালি গ্রামের এক সমৃদ্ধ কৃষক পরিবারের সন্তান লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)। বছর ৩১ এর এই গ্যাংস্টার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের কিছু অংশেই এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন : পেয়েছিল ভূতুড়ে তকমা, সুশান্তের মৃত্যুর ৪ বছর পর এখন কে থাকেন তাঁর ‘অভিশপ্ত’ ফ্ল্যাটে?
পড়াশোনা এবং উচ্চশিক্ষা
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর উচ্চশিক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ে পাড়ি দেন তিনি। কলেজে গিয়েই দ্রুত ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)। শুধু তাই নয়, স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতিও হন তিনি। কিন্তু দ্রুত অপরাধ জগতের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন বিষ্ণোই। রাজনীতির আড়ালে চলতে থাকে তাঁর ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড। ২০১০ সালে প্রথম একজনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তারপর থেকে একাধিক অভিযোগ উঠেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Lawrence Bishnoi) বিরুদ্ধে। এমনকি জেলে গিয়েও নিজের অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
সলমন খানের সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শত্রুতা শুরু হয় যখন ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ায় ভাইজানের। ওই মামলায় জেলেও যেতে হয়েছিল সলমনকে। কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেও বিষ্ণোই গ্যাং তাঁকে ভোলেনি। আসলে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ পূজনীয়। সেই থেকেই সলমনের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ। একাধিক বার প্রকাশ্যেই ভাইজানের উপরে হামলাও চালিয়েছে তাঁরা। সিধু মুসেওয়ালার খুনের পর বাবা সিদ্দিকীর খুনের দায়ও স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। খুনের সুপারি ছাড়াও স্মাগলিং, জুলুমবাজির মতো অভিযোগও রয়েছে এই গ্যাং এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সলমনকে সরাসরি হুমকি দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয় অভিনেতার।