বাংলাহান্ট ডেস্ক : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে ইডি। সেই চার্জশিটে বলা হয়েছে তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে, মানিকও পার্থর মতই আচরণ করছেন। তদন্তে কোনও রকম সাহায্যই করছেন না তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট (Whatsapp Chat) রিট্রিভ করে কনট্যাক্ট লিস্টে আরকে (RK) নামে একজনের হদিশ পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে মানিকের ধারাবাহিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও রয়েছে। একটা চ্যাটে এও বলা হয়েছে যে, ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডি-কে (DD) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইডির (ED) হাতে রয়েছে এই সমস্ত তথ্য।
ইডির সূত্র থেকে এই খবর প্রকাশ্যে পরই রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কে এই আরকে? পার্থ-মানিকের ঘনিষ্ঠদের আদ্যক্ষর মিলিয়ে অনুসন্ধিৎসু মন বোঝার চেষ্টা করছেন এই লোকটি রাজনীতির কেউ না রাজনীতির বাইরের কেউ?
মানিক যে দুর্নীতি করছেন সে ব্যাপারে তৃণমূলের মধ্যে থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ আসে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে পার্থ তার কোনও তদন্তের নির্দেশ দেননি বা তা নিয়ে খোঁজ খবর করেননি। বরং পার্থ জানিয়েছেন, সেই সব অভিযোগ নাকি পার্থ মানিকের কাছেই পাঠিয়ে দিতেন। এর থেকে সন্দেহ আরও জোরদার হচ্ছে যে তাঁদের মধ্যে বেশ ভালোরকমই বোঝাপড়া ছিল।
মানিক ভট্টাচার্যকে আজ মঙ্গলবার দুপুরেই আদালতে পেশ করা হবে। তাঁকে আপাতত সাতদিনের জন্য হেফাজতে চাইতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট