বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেখলিগঞ্জ থেকে হেলাপাকড়ি হয়ে ময়নাগুড়ি যাওয়ার রাস্তায় ৭৬ নিজতরফ এলাকার ভেড়বেড়ি মোড় এলাকায় নতুন এই ‘ঠাকুর’-এর ‘আবির্ভাব’ ঘটেছে বছর তিনেক আগেই। নাম ‘টেনশন ঠাকুর’। এলাকাটি কৃষিপ্রধান। যত দিন গিয়েছে, ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত পুজো কমিটির সম্পাদক গণেশ অধিকারী, যতীন বর্মণ, বাবুদেব বর্মণরা জানান, এই এলাকায় অভাব ঘরে ঘরে। যুবকদের চাকরি নেই, ফসলের দাম নেই। সকলেই উদ্বেগ বা টেনশনে থাকেন। সে কারণে সকলে মিলে গ্রামের ওই মোড়ে বসে টেনশন দূর করার উপায় খুঁজতে শুরু করেন। শেষে এলাকাবাসীর মঙ্গলকামনায় পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কিন্তু সিদ্ধান্ত হলে কী হবে, এলাকাবাসীর মূল সমস্যা তো টেনশন!
এই টেনশন দেবতার মস্তক ও কণ্ঠদেশের কিয়দংশ দৃশ্যমান। আঁকা হয় দেবতার চোখ, নাক, মুখ ও গোঁফ। গাত্র বর্ণ গোলাপী, বেদির রং লাল। নতুন দেবতা তৈরির পর জ্যৈষ্ঠের সংক্রান্তিতে ধুমধাম করে শুরু হয় পুজো। শুরু থেকেই পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজবংশী সমাজের পুরোহিত ভুপাল অধিকারী।
রবিবার ছিল সেই জ্যৈষ্ঠের সংক্রান্তি। সে কারণে এদিন সকাল থেকে ঠাকুর রং থেকে পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। পুজো পরিচালনার মূল দায়িত্বে যিনি সামলান স্থানীয় ভাষায় তাকে ‘মারেয়া’ বলা হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে এই দিনটা কেটে যায় টেনশন ছাড়াই।টেনশন ঠাকুরকে সন্তুষ্ট করার উদ্যোগে।