বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৭ সালের প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলায় নয়া মোড়। সমস্ত ওএমআর, উত্তরপত্র নষ্ট হয়েছে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) মুখের কথাতেই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিক বোর্ডের নতুন অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন থেকে জানা এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হেভিওয়েটের নাম সামনে আনল বোর্ড
২০১৭ সালে প্রাথমিকের ওএমআর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পরামর্শেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল! অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন জানাচ্ছে, ‘মানিক ভট্টাচার্যের কথাতেই ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট-এর ওএমআর নষ্ট করা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়াই অস্বাভাবিক এবং বেআইনিভাবে এই কাজ হয়েছে’।
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে এই মামলা উঠলে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘এভাবে কারো মুখের কথায় চাকরির পরীক্ষার নথি নষ্ট করা যায় কী? কনফিডেনসিয়াল সেকশনে পাঠানো তথ্য এভাবে মুখের কথায় (কীভাবে নষ্ট হয়)… এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই?’’
এর পরেই ডিজিটাইজ ওএমআর তলব করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলাকারী টিনা মুখোপাধ্যায়ের ডিজিটাইজ ওআমআর তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ অগাস্টের মধ্যে তা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত আগে এই মামলা শুনছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তার এজলাসে শেষ শুনানিতেও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছিল।
আরও পড়ুন: সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ মমতা
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে পর্ষদের আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৭ সালে প্রাথমিকের ওএমআর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পরামর্শেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের বোর্ডের সদস্যরা এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও আদালতে (Calcutta High Court) জানিয়েছিলেন তিনি। পর্ষদ আরও জানায়, মানিক ্টাচার্য বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের কোনো কিছু জানাননি। নিজেই একা বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতেন। তিনিই ওএমআর শিট নষ্ট ক। বোর্ডের মিটিংয়ে কোনও ‘রেজলিউশন’ নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছিল পর্ষদ।
প্রসঙ্গত শিক্ষা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য মানিক ভট্টাচার্য । সেই থেকে জেলেই দিন কাটছে তার। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ।