বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজাম প্যালেসে একাধিকবার তলব করলেও বেশিরভাগ সময় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শেষের দিকে কলকাতাতে আসলেও সিবিআই অফিসে ফিরেও তাকাননি তিনি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর নামে কোথায় এবং ঠিক কত পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তা খুঁজে বার করতে তৎপর সিবিআই। তবে সূত্র মারফত খবর মিলছে যে, বর্তমানে একাধিক প্রান্তে সন্ধান চালিয়েও সে সকল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া একপ্রকার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের! একাধিক তথ্য প্রমাণ এবং নথি জোগাড় করেও তৃণমূল নেতার নামে বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলেনি, এমনকি সিবিআই সূত্রের খবর, খোঁজ পাওয়া বেশিরভাগ সম্পত্তি বেনামে রয়েছে। ফলে বর্তমানে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সেই সকল সম্পত্তির আসল মালিকের নাম জানা হতে চলেছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িটি তাঁর পৈতৃক ভিটে। এছাড়াও আরো যে সকল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে, সেগুলি বেশিরভাগই বেনামে কেনা রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে তৃণমূল নেতার সম্পত্তির খোঁজ চালাতে গিয়ে এক প্রকার হিমশিম খেয়ে চলেছে সিবিআই। তবে এর মাঝেই আবার তদন্তকারী অফিসারদের নজরে এসেছে অনুব্রতর স্ত্রীয়ের চিকিৎসার খরচ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান। এক্ষেত্রে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এক প্রকার ছুটে বেড়ান তৃণমূল নেতা। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের প্রশ্ন, যদি তৃণমূল নেতার নামে কোন সম্পত্তি নাই থাকে, তাহলে তিনি কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করলেন?
গত বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখনো পর্যন্ত তাঁকে বিশেষভাবে জেরা করা সম্ভব হয়নি। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীয়ের চিকিৎসা বাবদ অর্থের উৎস জানতে মরিয়া তারা। এক্ষেত্রে যদি কেউ তৃণমূল নেতাকে কেউ সাহায্য করে থাকেন, তবে তিনি কে কিংবা কত টাকা দিয়েই বা সাহায্য করেছিলেন, এ সকল বিষয়গুলি জেরার মুখে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।