বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। বিগত প্রায় দু’বছর ধরে এদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন। বহুবার নানান কারণে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। কর্মজীবনের শেষ দিনে সেসব নিয়েই মুখ খুললেন বিদায়ী সিজেআই।
বিদায়ী ভাষণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)
শুক্রবার ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল। সেদিন নানান অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেওয়ার সময় খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন যে সকল সমালোচনা, কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে, সেগুলো কীভাবে সামলেছেন সেটাও সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনকে আমি জনসমক্ষে এনেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবন যখন প্রকাশ্যে আনা হয়, বিশেষত বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, তখন নিজেকে সমালোচনা গ্রহণের জন্য তৈরি রাখতে হয়। আমার এই কাঁধ সব সমালোচনা গ্রহণের মতো চওড়া’।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত বিচার পাবেন আরজি করের নির্যাতিতা! এবার যা পদক্ষেপ নেওয়া হল…শোরগোল রাজ্যে
সিজেআই পদে থাকাকালীন তাঁকে যারা ট্রোল (Troll) করতেন, সোমবার থেকে তাঁরা ‘বেকার’ হয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫০তম প্রধান বিচারপতি। চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমি কতখানি ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছি, আপনারা সবাই হয়তো জানেন। বিচারব্যবস্থায় আমি হয়তো সবচেয়ে ট্রোলড বিচারপতি। তবে সোমবার থেকে কী হবে, আমি সেটা ভাবছি। কারণ আমায় যারা ট্রোল করতেন, তাঁরা বেকার হয়ে যাবেন’।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে থাকাকালীন বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। চলতি বছরই যেমন তাঁর বাড়ির গণেশ পুজোয় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। সিজেআই চন্দ্রচূড়ের নিরপেক্ষতা এবং নানান মামলায় তাঁর দেওয়া রায় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। সম্প্রতি রামমন্দির মামলায় রায়দানের আগে ঈশ্বরের সামনে বসে প্রার্থনার মন্তব্য নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছিল।